নোয়াখালীতে ছেলের বিরুদ্ধে বৃদ্ধ বাবাকে হত্যার অভিযোগ

হত্যাপ্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে ছেলের মারধরে গুরুতর আহত বৃদ্ধ বাবা আবদুস সোবহানের (৭০) মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার সকাল সাতটার দিকে সোনাইমুড়ী পৌরসভার নাওতলা গ্রামের আলী আজম ব্যাপারীবাড়িতে ওই মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবদুস সোবহান মারা যান। ঘটনার পর থেকে ছেলে মো. শহিদ উল্যাহ (৩৮) পলাতক। খবর পেয়ে রাত নয়টার দিকে থানা-পুলিশ সোবহানের লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে নিজ বাড়িতে পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বাবা সোবহানের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান তাঁর বড় ছেলে শহিদ উল্যাহ (৩৮)। বাবা-ছেলের কথা–কাটাকাটাটির এক পর্যায়ে বাবাকে মারধর করেন শহিদ। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর বেলা তিনটার দিকে সোবহানের মেয়ে হাজেরা আক্তার তাঁর বাবাকে উপজেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে তিনি মারা যান। বৃদ্ধ বাবার বুকের একটি হাড়ও ভেঙে যায়।

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, নিহত সোবহানের ছয় মেয়ে, দুই ছেলে। ছোট ছেলে কিছুদিন আগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। বড় ছেলে শহিদ উল্যাহ পেশায় একজন রিকশাচালক। তিনি এর আগেও আরেকবার বাবাকে মারধর করেছেন। গতকাল সকালের ঘটনার পর থেকে শহিদ পলাতক।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশে কোনো বাড়ি নেই। চারদিকে পানি। প্রতিবেশীদের কাছ থেকেও তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। লাশের মুখে আঘাতের দাগ রয়েছে। থানায় লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। প্রাথমিকভাবে ছেলের মারধরে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিবারের বাকি সদস্যদের থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।