সাইবার বুলিং বন্ধে সরকার আলাদা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করছে: নাহিদ ইসলাম

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিদলছবি: মন্ত্রণালয়ের সৌজন্যে

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, মেয়েদের সাইবার বুলিং বন্ধে আলাদা ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করছে অন্তর্বর্তী সরকার। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান কার্টার সেন্টারের একটি প্রতিনিধিদলকে তিনি এ কথা বলেন।
রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি টাওয়ারে নাহিদ ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধিদল। মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সময় কার্টার সেন্টারের সিনিয়র অ্যাডভাইজার জেনি কে লিংকন বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারীরা কীভাবে তাঁদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাতে পারেন, সে বিষয়ে তাঁরা কাজ করছেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান ছাত্রদের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে। এ আন্দোলনে মাঝপথে ইন্টারনেট বন্ধ করে গুম ও খুনের তথ্য গোপন করে জনগণের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। বাংলাদেশে আর কেউ যেন এভাবে ইন্টারনেট বন্ধ করে মানুষের তথ্য প্রাপ্তির অধিকার ক্ষুণ্ন করতে না পারে, সে বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।

উপদেষ্টা বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশনের নামে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার ব্যাপক অনিয়ম–দুর্নীতি করেছে; ফলে মানুষ কাঙ্ক্ষিত সুফল পায়নি। সে ক্ষেত্রে একধরনের ডিজিটাল ডিসক্রিমিনেশন (বৈষম্য) তৈরি হয়েছে, আমরা তা দূর করতে চাই। বাংলাদেশের মানুষের ডিজিটাল লিটারেসি দরকার। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করছে।’

জেনি কে লিংকন বলেন, জনগণ তথ্য পাওয়ার জন্য উদ্‌গ্রীব। এ সময় তারা সঠিক তথ্য না পেলে ভুল এবং বিভ্রান্তকর তথ্য ছড়িয়ে পড়তে পারে।

দেশব্যাপী বিভিন্ন তথ্য কীভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, সে বিষয়ে জানতে চান কার্টার সেন্টারের প্রতিনিধি। উপদেষ্টা বলেন, প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তারা দেশব্যাপী তথ্য প্রচারের দায়িত্ব পালন করেন, যাঁরা তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা। দেশব্যাপী তথ্য প্রচারের এ কার্যক্রম প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকেও পর্যবেক্ষণ করা হয়।

নাহিদ ইসলাম বলেন, সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে যেসব কমিশন গঠন করা হয়েছে, তারা নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করে জনগণের মতামত সংগ্রহ করছে। এসব বিষয়ে কার্টার সেন্টারের কোনো মতামত থাকলে তা দেওয়ার জন্য প্রতিনিধিদলকে আহ্বান জানান তিনি।

সাক্ষাৎকালে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, দ্য কার্টার সেন্টার বাংলাদেশের চিফ অব পার্টি সুমনা সুলতানা মাহমুদসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।