ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির স্প্রিং ২০২৪ সেমিস্টারের শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (ডব্লিউইউবি)–এ স্প্রিং-২০২৪ সেমিস্টারের ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরাছবি: সংগৃহীত

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (ডব্লিউইউবি) স্প্রিং ২০২৪ সেমিস্টারের সদ্য ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে ২০২৪ সালের ১৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফ্রেশার্স রিসেপশন প্রোগ্রামের আয়োজন করে।

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের (বিএসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মেসবাহউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ‘দৈনিক অবজারভার’ পত্রিকার সম্পাদক ও ‘ডিবিসি নিউজ’-এর চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক এম নুরুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কোষাধ্যক্ষ মোর্শেদা চৌধুরী। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রক্টর, ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।

সকাল ৯টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি অধ্যাপক মেসবাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান। প্রধান অতিথি নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘বিশ্বায়নের এই সময়ে শিক্ষার্থীদের শুধু গতানুগতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে হবে না। হার্ড স্কিলের পাশাপাশি সফট স্কিলের ওপর বিশেষ জোর দিতে হবে। তোমাদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইতিবাচক মনোভাব ধারণ করা বিশেষ জরুরি।’

উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যের শুরুতে প্রধান অতিথিকে অনুষ্ঠানে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং নতুন শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই কোয়ালিটি এবং ইউটিলিট্রারিয়ান এডুকেশনের ওপর জোর দিয়ে আসছি। কারণ, আমাদের লক্ষ্য শুধু গ্র্যাজুয়েট তৈরি করা নয়, প্রকৃত লিডার তৈরি করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি দেওয়া হয় না, শিক্ষার্থীরা তাদের মেধা ও মননশীলতার মাধ্যমে ডিগ্রি অর্জন করে।’

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তোমাদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। তোমাদের এই যাত্রায় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জন করতে হলে শুধু পোশাকে স্মার্ট নয়, বাহ্যিক জ্ঞান ও দক্ষতায়ও স্মার্ট হতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য এম নুরুল ইসলাম নতুন শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানান এবং ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষকদের অবদানের কথা তুলে ধরেন।

স্বাগত বক্তব্যে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কোষাধ্যক্ষ মোর্শেদা চৌধুরী বলেন, ‘তোমাদেরও (শিক্ষার্থী) জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য শুরুতেই ঠিক করে নিতে হবে। যদি তোমরা ঠিক করতে না পারো, তাহলে সহযোগিতার জন্য আমরা আছি। আমাদের যোগ্য এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকেরা আছেন। শিক্ষার পাশাপাশি তোমাদের কালচারালসহ অন্যান্য বিষয়েও প্রকৃত জ্ঞান অর্জনে সচেষ্ট হতে হবে।’

অনুষ্ঠানের শেষার্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।