বাংলাদেশ থেকে আলু নিতে আগ্রহী জাপানি কোম্পানি
বাংলাদেশ থেকে জাপানে আলু রপ্তানির সুযোগ তৈরি হয়েছে। কৃষিপণ্য হিসেবে আলু রপ্তানি ছাড়াও বাংলাদেশ ও জাপানের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে দেশে আলুর প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপনের বিষয়ে মতৈক্য হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জাপানে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এবং দুই দেশের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের প্রতিনিধিদলের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, বাংলাদেশে উৎপাদিত ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ ও আমদানিতে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছে জাপানের একটি কোম্পানি। নেদারল্যান্ডস থেকে আমদানি করা ভ্যালেন্সিয়া জাতটি দেশে এসিআই কোম্পানি প্রচলন করেছে। জাপানের ওই কোম্পানি ও এসিআই যৌথভাবে বাংলাদেশে আলুর প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা স্থাপন করবে।
সকালে জাপানের টোকিওতে ওয়েস্টিন হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে জাপান সফররত কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে জাপানি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা সেইয়া কাদাউ সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানান। এ সময় এসিআই অ্যাগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট এফ এইচ আনসারী উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ থেকে ভ্যালেন্সিয়া জাতের আলুর নমুনা নিয়ে জাপানের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে বলে জানান জাপানি কোম্পানির শীর্ষ কর্মকর্তা সেইয়া কাদাউ। তিনি কৃষিমন্ত্রীকে জানান, এ জাতের আলু মানসম্পন্ন ও সুস্বাদু।
কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, দেশে বছরে ১ কোটি টনের বেশি আলু উৎপাদিত হয়। দেশে আলুর চাহিদা রয়েছে ৬০ থেকে ৭০ লাখ টন। দেশে বর্তমানে যেসব জাতের আলু উৎপাদিত হচ্ছে, তার চাহিদা বিদেশে অনেক কম। সে জন্য রপ্তানিযোগ্য ও শিল্পে ব্যবহার উপযোগী আলুর জাত সম্প্রসারণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সরকারিভাবে বিএডিসির মাধ্যমে বিদেশ থেকে অনেকগুলো উন্নত জাত আনা হয়েছে, সেগুলো কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণের কাজ চলমান আছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আলুকে আমরা অনিয়ন্ত্রিত ফসল বা ডিনোটিফায়েড ঘোষণা করেছিলাম, যাতে করে বেসরকারিভাবে উন্নত জাত আনা সহজ হয়। এ ঘোষণার পর থেকে বেসরকারিভাবেও আলুর অনেক উন্নত জাত দেশে এসেছে, নিবন্ধিত হয়েছে।’ তিনি বলেন, রপ্তানিযোগ্য এসব আলুর জাত চাষের ফলে আলু রপ্তানির বিরাট সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।