বেনজীর আহমেদের বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য পেলে দুদক সিদ্ধান্ত নেবে: দুদকের আইনজীবী
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিষয়ে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-উপাত্ত পেলে আইন অনুযায়ী অবশ্যই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আজ সোমবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খুরশীদ আলম খান এ কথা বলেন।
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদকে নিয়ে একটি গণমাধ্যমে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তাঁর দুর্নীতি নিয়ে, বিষয়টি কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘এটি ব্যাখ্যা করার এখতিয়ার আমি রাখি না, যেহেতু এটি কমিশনের ব্যাপার। তবে পত্রিকায় যেদিন খবর ছাপা হয়েছে, সেদিন কমিশনার মো. জহুরুল হক একটি বক্তব্য দিয়েছেন—তথ্য-উপাত্ত যদি হাতে আসে এবং তা বিশ্বাসযোগ্য হলে বেনজীর হোক আর যে-ই হোক, দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।…কমিশনার জহুরুল হক বলেই দিয়েছেন, তথ্য-উপাত্ত যদি দুদকের কাছে আসে এবং সেটি বিশ্বাসযোগ্য হয় ও তার সারবত্তা থাকে, অবশ্যই সে ক্ষেত্রে দুদক তার নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেবে। ব্যক্তি এখানে মুখ্য বিষয় না।’
পত্রিকায় যেভাবে এসেছে, এটি আসলে অ্যালার্মিং কি না—এ প্রশ্নের জবাবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘এগুলোর সত্যতা যাচাই করতে হবে, এগুলো এক্সামিন (পরীক্ষা) করতে হবে, ডেটা অ্যানালাইসিস (তথ্য বিশ্লেষণ) করতে হবে। পত্রপত্রিকা আমাদের একটি বিশেষ সোর্স। কিন্তু সেই পত্রিকার অ্যানালাইসিস কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য, সেটি আগে এক্সামিন করতে হবে। তারপরে দুদকের হাতে যে তথ্য-উপাত্ত থাকবে, অবশ্যই দুদক সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেবে—এটি কমিশনার জহুরুল হক স্পষ্ট করে বলেই দিয়েছেন।’
অন্য ক্ষেত্রে পত্রিকাকে যেভাবে গুরুত্ব দেন, এ ক্ষেত্রে ধীরগতি কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘এখানে স্লো হওয়ার কিছু নেই। একটা তথ্য-উপাত্ত যখন পত্রিকায় আসে, সে বিষয়ে ডেটা সংগ্রহ করতেও সময় লাগে। আমাদের হাতে কোনো জিন-পরি নেই, আজকে আসল, কালকে ফুঁ দিয়ে দিলাম। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। ডেটা সংগ্রহ করতে হবে ও দেখতে হবে, বিশ্বাসযোগ্য কি না। এখানে ব্যক্তি মুখ্য না, মুখ্য হলো ডেটা। ডেটা অ্যানালাইসিস করতে হবে। কমিশনার জহুরুল হক বলেই দিয়েছেন, সেই ডেটা যদি ওনাদের হাতে আসে, ওনারা অবশ্যই আইনগতভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন।’