চাকরি স্থায়ীর দাবিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর ঘেরাও

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন
ফাইল ছবি

চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের দপ্তর ঘেরাও করেছে অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীরা। এ সময় তাঁরা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণের দাবি জানান।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম নগরের টাইগারপাসে সিটি করপোরনের অস্থায়ী প্রধান কার্যালয়ের দোতলায় এই ঘটনা ঘটে।  অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীরা প্রায় ২০ মিনিট প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের বিপরীতে পাশে মেয়র কার্যালয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,  বিক্ষোভের একপর্যায়ে শ্রমিকনেতারা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের দাবি তুলে ধরেন। সিটি করপোরেশনের শূন্য পদের বিপরীতে অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ী করার প্রক্রিয়া শুরু করার অনুরোধ জানান। তখন তিনি অপরাগতা প্রকাশ করেন। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে নানা স্লোগান দেন। কেউ কেউ উচ্ছৃঙ্খল আচরণও করেন।

জাতীয় শ্রমিক-কর্মচারী লীগের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সভাপতি ফরিদ আহমদ বলেন, গত মঙ্গলবার সিটি করপোরেশনের সাধারণ সভায় অস্থায়ী শ্রমিকদের স্থায়ী করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিন দিনেও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কোনো প্রক্রিয়া শুরু করেননি। এ জন্য শ্রমিকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করলেও তিনি স্থায়ী করার বিষয়ে অনীহা প্রকাশ করেন। এ জন্য তাঁরা প্রধান নির্বাহীর অপসারণের দাবি করেছেন।

পরে মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের দাবি উপস্থাপন করেন বলে জানান ফরিদ আহমদ। তিনি বলেন, মেয়র চাকরি স্থায়ী করার প্রক্রিয়া শুরু করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, সংস্থাটিতে বর্তমানে ৮ হাজার ৪০০ কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিক আছেন। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি অস্থায়ী। চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। এ নিয়ে সিটি করপোরেশনের সাধারণ সভায় আলোচনা করেছিলেন কাউন্সিররা।

কাউন্সিলররা বলছেন, অনেক শ্রমিক-কর্মচারী ২০-২৫ বছর ধরে কর্মরত। চাকরি স্থায়ী না হওয়ায় পরিবার নিয়ে মানবেতর অবস্থায় আছেন। তাই চাকরি স্থায়ী করা জরুরি।

শ্রমিক-কর্মচারীদের ঘেরাও কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বলেছেন, এই ঘটনায় তিনি বিব্রত।

সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমকে গত ১৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য হিসেবে বদলির আদেশ হয়েছে।