জামিন পেলেন ইসলামী ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চার কর্মকর্তা
গুজব ছড়ানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার ইসলামী ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) চার কর্মকর্তা জামিন পেয়েছেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত তাঁদের এ জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়া চারজন হলেন ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা উত্তর জোনের প্রধান ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইদ উল্লা, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কুমিল্লা জোনের প্রধান শহিদুল্লাহ মজুমদার, নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন (অব.) হাবিবুর রহমান এবং এসআইবিএলের প্রধান রেমিট্যান্স কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এই কর্মকর্তাদের আইনজীবী আসাদুজ্জামান মোল্লা, ফয়সাল আহমেদ ও আজমত হোসেন।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ওই মামলায় এ পর্যন্ত নয়জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। একজন ছাড়া সবাই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মামলায় এ পর্যন্ত নয়জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। একজন ছাড়া সবাই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
ক্যাপ্টেন (অব.) হাবিবুর রহমানের আইনজীবী আসাদুজ্জামান মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মক্কেলের নাম মামলার এজাহারে ছিল না। সন্দেহের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আদালত গত ২৯ জানুয়ারি জামিন মঞ্জুর করেছেন।
একই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন মোশাররফ হোসেন, শহীদুল্লাহ মজুমদার ও সাইদ উল্লার আইনজীবীরা।
এস আলম গ্রুপের মালিক ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পোস্টার লাগিয়ে ও ফেসবুকে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে গত ৫ জানুয়ারি গুলশান থানায় ওই মামলা করা হয়। এতে আসামি করা হয় তিনজনকে। তাঁরা হলেন ফেনীর মাজহারুল ইসলাম ও লক্ষ্মীপুরের নুরনবী ও গোলাম সারোয়ার। নুরনবী ব্যবসায়ী ও কয়েকটি ব্যাংকের আলোচিত ঋণখেলাপি।
পরে গত ৯ জানুয়ারি নুরনবীসহ পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। নুরনবী ছাড়া অপর চারজন হলেন আফসার উদ্দিন, আবু সাইদ, স্বাধীন মিয়া ও আবদুস সালাম। এ ছাড়া ইসলামী ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চার কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হন গত ১৮ জানুয়ারি।
আদালত সূত্র বলছে, মামলায় মাজহারুল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি ছাড়া সব আসামি জামিন পেয়েছেন। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে মানহানিকর তথ্য প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।