দুই দিনে সব শিক্ষক এক ঘণ্টার অনলাইন প্রশিক্ষণ নিতে পারেননি

প্রতীকী ছবি

নতুন শিক্ষাক্রমের বিষয়ে নির্ধারিত দুটি দিনে (২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর) অনলাইনে মাধ্যমিকের প্রায় এক লাখ শিক্ষক প্রশিক্ষণ নিতে পারেননি। তাঁরা চলতি মাসজুড়েই নির্ধারিত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এই অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্স করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মাউশির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য।

প্রায় সোয়া তিন লাখ মাধ্যমিক শিক্ষককে এক ঘণ্টা করে বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার আয়োজন করেছিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। কিন্তু আজ রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সোয়া দুই লাখের মতো শিক্ষক অংশ নিয়েছেন বলে তথ্য পেয়েছে মাউশি।

আরও পড়ুন

প্রবীর কুমার ভট্টাচার্য্য প্রথম আলোকে বলেছেন, যেসব শিক্ষক গত দুই দিনে এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারেননি, তাঁরাও কোর্সটি করতে পারবেন। কাল সোমবার থেকে চলতি মাসজুড়েই তাঁরা নির্ধারিত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে এই অনলাইন প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিতে পারবেন।

উল্লেখ, রেকর্ড করা এই প্রশিক্ষণ কোর্স যেকোনো সময় করার সুযোগ আছে।

কথা ছিল, এ মাসে বিষয়ভিত্তিক সব শিক্ষককে সশরীর পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ দিয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষ (২০২৩) থেকে তিনটি শ্রেণিতে (প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম) নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। বাকি শ্রেণিগুলোয় ২০২৪ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে। কিন্তু পথরেখা অনুযায়ী শিক্ষকদের সেই প্রশিক্ষণ দিতে পারেনি মাউশি। এ জন্য মাধ্যমিকের শিক্ষকদের অন্তত বিষয়ভিত্তিক এক ঘণ্টার অনলাইন প্রশিক্ষণ দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু নির্ধারিত দিনে সেটিও সব শিক্ষক নিতে পারেননি।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, শিখনপ্রক্রিয়ায় আমূল পরিবর্তন আসছে। বদলে যাবে মূল্যায়নের ধরনও। কিন্তু যাঁরা নতুনভাবে শেখাবেন, মূল্যায়ন করবেন, সেই শিক্ষকদের এমন ‘হেলাফেলা’ প্রশিক্ষণ দিয়ে তা বাস্তবায়ন শুরু করলে কতটা ফলপ্রসূ হবে, সে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া না হলে নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার পরিবর্তনের উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হবে।

এর আগে শিক্ষকদের পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাবে ২০০৮ সালে চালু হওয়া সৃজনশীল শিক্ষাপদ্ধতিও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা যায়নি। মাউশির তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ৩৮ শতাংশের বেশি বিদ্যালয়ের শিক্ষক সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র তৈরি করতে পারেন না।