উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে রাইফেলসহ যুদ্ধফেরত রোহিঙ্গা তরুণ গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা তরুণ মোহাম্মদ ইলিয়াছ। আজ রোববার সকালেছবি সংগৃহীত

কক্সবাজারে উখিয়ার হাকিমপাড়া আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-২০) অভিযান চালিয়ে দুটি জি-থ্রি রাইফেলসহ এক রোহিঙ্গা তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। তাঁর নাম মোহাম্মদ ইলিয়াছ (২৬)। তিনি উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১১) এ-১৫ ব্লকের রোহিঙ্গা হাসান আহমদের ছেলে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত একটার দিকে অস্ত্রসহ ইলিয়াছকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশ্রয়শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল বলেন, চার মাসের বেশি সময় ধরে মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে দেশটির স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে লড়াই-সংঘাত চলছে। গ্রেপ্তার মোহাম্মদ ইলিয়াছ রাখাইন রাজ্যের সেই লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। সম্ভবত সেখানকার অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি (ইলিয়াছ) টেকনাফ অনুপ্রবেশ করে আশ্রয়শিবিরে আত্মগোপন করেন। গোয়েন্দা তথ্যে ভিত্তিতে ইলিয়াছকে গভীর রাতে হাকিমপাড়া আশ্রয়শিবিরের এম-৩৫ ব্লকের একটি আস্তানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় দুটি জি-থ্রি রাইফেল ও ৫০টি রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ইলিয়াছকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গা নেতা সলিম উল্লাহ বলেন, ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা ঢলের সঙ্গে টেকনাফে পালিয়ে আসেন রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দা ইলিয়াছ। এরপর তিনি মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মিতে (আরসা) যোগ দেন। কয়েক মাস আগে তিনি আরসা ছেড়ে মিয়ানমারের আরেক সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারেটি অর্গানাইজেশনে (আরএসও) যোগ দেন। গত মে মাসে তিনি অন্যান্য রোহিঙ্গা তরুণ-যুবকের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যে যান সরকারি বাহিনীর সহযোগিতায় সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়তে। কয়েক দিন আগে তিনি নাফ নদী অতিক্রম করে আশ্রয়শিবিরে ফিরে আসেন।  

বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩ আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। এর মধ্যে আট লাখ এসেছে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরের কয়েক মাসে। গত সাত বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো যায়নি।