ডেঙ্গুতে এক শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু

ডেঙ্গুফাইল ছবি: বাসস

দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এক শিশুসহ আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ডিসেম্বরের প্রথম ১১ দিনে ডেঙ্গুতে ৪৮ জনের মৃত্যু হলো। আর চলতি বছর এখন পর্যন্ত এডিস মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যু হয়েছে ৫৩৬ জনের।

আজ বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, আজ সকাল আটটা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশের হাসপাতালগুলোয় দুজন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার হাসপাতালে একজন ও চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশন বাদে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪৪৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

চলতি বছর ঢাকাসহ সারা দেশে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯৭ হাজার ৬০৩ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গত বছর ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। আর মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের। চলতি বছর দেশে ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে গত মাসে, ১৭৩ জনের।

এই ডিসেম্বর মাসেও ডেঙ্গুতে এত মৃত্যুর পেছনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সম্মিলিত ব্যর্থতাকে দায়ী করেন জনস্বাস্থ্যবিদ মো. আবু জামিল ফয়সাল। তিনি সম্প্রতি প্রথম আলোকে বলেন, মশকনিধনের ব্যর্থতা, যেসব ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। সেগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ এবং এগুলোর কার্যকারিতাও দেখা হচ্ছে কি না, তা প্রশ্নসাপেক্ষ।

ডেঙ্গু পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রতিটি ওয়ার্ডে শিক্ষার্থীদের কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন আবু জামিল ফয়সাল।

তবে এখন যেসব ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে, সেগুলোর কার্যকারিতা যথাযথভাবেই দেখা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘এখন যে দুই ওষুধ মশকনিধনে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো হলো ম্যালাথিয়ন ও টেমিফস। এই দুটোই যথেষ্ট কার্যকর। আর এসবের কার্যকারিতা শুধু আমরা দেখছি না, তৃতীয় পক্ষ হিসেবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরাও দেখেছেন। সার্বিকভাবে রোগীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।’