দিল্লি থেকে ২০ দেশের রাষ্ট্রদূত কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকায় আসছেন: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে আজ রোববার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেনছবি: পিআইডি

দিল্লিতে অবস্থানরত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২০টি সদস্যদেশের রাষ্ট্রদূতেরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকায় আসছেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে আজ রোববার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। ভাষণে বিশেষ এক সংকটময় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ এবং এরপর পরিস্থিতির উত্তরণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টা।

এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্ব নেতাদের ধন্যবাদ জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের এই সংকটময় সময়ে তাঁরা প্রায় সবাই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমি যখন সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিই, সে সময় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কানাডা, ইতালি, হল্যান্ড, জাতিসংঘ মহাসচিবসহ বিশ্বের অনেক দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গে আমার বৈঠক করার সুযোগ হয়। তাঁরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের প্রতি সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। নেপাল, মালদ্বীপ, পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী বেশ কয়েকটি দেশের সরকারপ্রধানের সঙ্গেও আমার বৈঠক হয়েছে, যেখানে আমি সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার কথা বলেছি।’

দেশে ফিরে আসার পর ওই সব দেশের রাষ্ট্রদূতেরা স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে তাঁদের সরকারপ্রধানদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে গেছেন বলে ভাষণে উল্লেখ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

এসব রাষ্ট্রদূত সম্পূর্ণ নতুনভাবে বাংলাদেশের জন্য সহায়তার নতুন ছক তৈরির কাজ শুরু করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যেসব রাষ্ট্রদূত দিল্লিতে অফিস করেন, তাঁরা দিল্লি থেকে এসে দেখা করে গেছেন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২০টি দেশের ২০ জন রাষ্ট্রদূত দিল্লিতে থাকেন। সাত দেশের সাত রাষ্ট্রদূত ঢাকায় আছেন। দিল্লি থেকে একসঙ্গে ২০ জন রাষ্ট্রদূতসহ মোট ২৭ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত সমবেতভাবে আমার সঙ্গে বৈঠক করার জন্য কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকায় আসছেন।’

আগে কখনো ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৭ জন রাষ্ট্রদূত একত্র হয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসেননি বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, দিল্লি থেকে এ বিশালসংখ্যক রাষ্ট্রদূত একসঙ্গে বৈঠক করার জন্য আসেননি। এবার এটি করার পেছনে আছে ইইউর সমর্থন প্রকাশ করা এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে উচ্চপর্যায়ের সহযোগিতা গড়ে তোলা।

এ ছাড়া ইতিমধ্যে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রাজিল, তুরস্ক, রাশিয়া, ফিনল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, লিবিয়াসহ অনেক দেশের রাষ্ট্রদূত তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। এসব রাষ্ট্রদূত দ্বিপক্ষীয় নানা সহযোগিতাসহ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান তিনি।