কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মামলা পরিচালনার জন্য নতুন প্রসিকিউটর নিয়োগ দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে মামলা পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আজ সোমবার প্রথম আলোকে তিনি এই তথ্য জানিয়েছেন।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মামলা পরিচালনা করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলীকে নিয়োগ দিয়েছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান আজ প্রথম আলোকে বলেন, শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মামলাগুলো তিনি পরিচালনা করে আসছিলেন। তবে সম্প্রতি ওই প্রতিষ্ঠান আরেকজন প্রসিকিউটার নিয়োগ দেওয়ায় তিনি ব্যক্তিগতভাবে বিব্রত। এ জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মামলাগুলো পরিচালনা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়টি তিনি লিখিতভাবে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরকে জানিয়েছেন।
গত ২২ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সেদিন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেছিলেন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।
এদিকে গত ৩০ মে ড. ইউনূসকে প্রধান আসামি করে আরও ১২ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।
সর্বশেষ ২৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও ১৮টি মামলা হয়। ২০০৬ সালের আগে নিয়োগ পাওয়া ১৮ জন কর্মচারী ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে পৃথক মামলা করেন। আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে সমনের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে হয়রানির জন্য একের পর এক মামলা দেওয়া হচ্ছে।