হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামে মোতাহারের ‘ইচ্ছায়’ মুক্তিযোদ্ধা
হাতীবান্ধায় ২০১০ সালে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ৩০২ জন, এখন ৩৯০ জন।
পাটগ্রামে ২০১০ সালে মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ৩৫০ জন, এখন ৪৩৪ জন।
১৪ বছরে মোতাহার হোসেনের নির্বাচনী এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা বেড়েছে অন্তত ১৭২ জন।
সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) ছিলেন সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সাগর ও আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে শ্যামল। তাঁদের বাড়ি মোতাহার হোসেনের নির্বাচনী এলাকা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায়। ২০০৯ সালে মোতাহার হোসেন প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর সাজ্জাদ হোসেন ও আবু বক্কর সিদ্দিকের বাবা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পান।
তবে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, মোতাহার হোসেন তাঁর প্রভাব খাটিয়ে সাজ্জাদ হোসেন ও আবু বক্কর সিদ্দিকের বাবাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি এনে দেন। তাঁদের কেউই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন। মোতাহার হোসেন প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে আধা সরকারি পত্র (ডিও লেটার) দিয়ে এই দুজনকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ করেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম আসে তাঁদের।
শুধু এই দুজন নন, মোতাহার হোসেনের বেশ কয়েকজন আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারাও একইভাবে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের। তাঁদের দাবি, ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের সময় সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি, এমন ব্যক্তিরাও পরে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। যাছাই–বাছাই কমিটি এ নিয়ে আপত্তি তুললেও মোতাহার তা উপেক্ষা করেন।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০০১ সাল থেকে টানা পাঁচ মেয়াদে লালমনিরহাট-৩ (হাতীবান্ধা–পাটগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন মোতাহার হোসেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। মোতাহার হোসেন লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগেরও সভাপতি। ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সদস্যও ছিলেন তিনি।
সরকারি হিসাব বলছে, মোতাহার হোসেনের নির্বাচনী এলাকা হাতীবান্ধায় ২০১০ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ৩০২ জন, যা বেড়ে এখন ৩৯০ জনে দাঁড়িয়েছে। একই বছর পাটগ্রামে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ৩৫০ জনের মতো, যা এখন ৪৩৪ জন। অর্থাৎ মোতাহার হোসেন প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য থাকাকালে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা অন্তত ১৭২ জন বেড়েছে।
মোতাহার হোসেন হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামে তাঁর ইচ্ছেমতো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করেছেন। এসবের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার।
মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি দিতে ডিও লেটার
প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে মোতাহার হোসেন ২০১২ সালের ১ এপ্রিল হাতীবান্ধার মধ্য গড্ডিমারী গ্রামের আতিয়ার রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে গেজেট প্রদানের আদেশ দিতে তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলামকে ডিও লেটার দেন। এর ঠিক দুই মাস পর একই বছরের ১ জুন আতিয়ার রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বেসামরিক গেজেট প্রকাশ করা হয়।
আতিয়ার রহমান প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের ভগ্নিপতি ও তাঁর এপিএস আবু বক্কর সিদ্দিকী ওরফে শ্যামলের বাবা। গড্ডিমারী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বসুনিয়া প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে হাতীবান্ধা উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে আপত্তি তোলা হয়েছিল; কিন্তু এ বিষয়ে মোতাহার হোসেন কথা বলার সুযোগ দেননি। অবশ্য শ্যামলের দাবি, তাঁর বাবা মোতাহার হোসেনের সঙ্গে যুদ্ধ করেন। এ জন্য তিনি সুপারিশ করেন।
তাঁদের দাবি, ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের সময় সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি, এমন ব্যক্তিরাও পরে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। যাছাই–বাছাই কমিটি এ নিয়ে আপত্তি তুললেও মোতাহার তা উপেক্ষা করেন।
হাতীবান্ধার টংভাঙ্গা গ্রামের আবদুল মতিনও মোতাহার হোসেনের ভগ্নিপতি ও তাঁর আরেক এপিএস সাজ্জাদ হোসেন ওরফে সাগরের বাবা। আবদুল মতিন ২০২৩ সালে ও তাঁর বড় ভাই আবদুর রহিম (মৃত) ২০২২ সালে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পান। তাঁদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি ও সনদ প্রদানের জন্য ডিও লেটার দিয়েছিলেন মোতাহার হোসেন।
বিষয়টি নিয়ে আবদুল মতিনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তাঁর ছেলে ওয়ায়েজ কুরুনী প্রথম আলোকে জানান, তাঁর বাবা ও বড় আব্বা (আবদুর রহিম) ভারতে যুদ্ধ করেছেন বলে শুনেছেন তিনি।
যদিও নজরুল ইসলাম নামের স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আবদুল মতিন শরণার্থী হিসেবে ভারতে যান। আর আবদুর রহিম ছিলেন বাড়িতে। কেউই মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেননি।
মোতাহার হোসেনের সুপারিশে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন, এমন অন্তত ১০টি ডিও লেটার প্রথম আলোর কাছে আছে, যাঁদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি নিয়ে আপত্তি তুলছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
এ বিষয়ে মোতাহার হোসেনের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে আছেন বলে জানা গেছে। এলাকায় আলোচনা আছে, তিনি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গেছেন।
মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির জন্য ডিও লেটার দিতেন মোতাহার হোসেন। দুই থেকে সাত লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগ।
যাচাই-বাছাইয়ে বাতিলের পরও মুক্তিযোদ্ধা
মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের সময় ‘গ’ তালিকাভুক্ত হন মোতাহার হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) আরিফুল ইসলামের বাবা আবদুল জলিল প্রামাণিক। ‘গ’ তালিকাভুক্ত মানে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটি তাঁর আবেদন বাতিল করে দেয়। অথচ ২০২০ সালে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি (মুজিবনগর গেজেট) পান আবদুল জলিল।
আবদুল জলিলের দাবি, তিনি জামুকায় আপিল করে গেজেটভুক্ত হন। যদিও উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, আবদুল জলিলের মু্ক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। হাতীবান্ধার সিংহীমারী ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের কমান্ডার মতিয়ার রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মোতাহার হোসেনের সুপারিশে আবদুল জলিলের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় আসে।
জামুকা সূত্র বলছে, ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই শুরু হলে মোতাহার হোসেন বীর মুক্তিযোদ্ধা পদাধিকারে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি হন। জামুকার বিভাগীয় সদস্য হিসেবে তিনি রংপুর বিভাগের জেলা ও উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আপিল যাচাই-বাছাই ও শুনানিও করেন।
হাতীবান্ধায় যাছাই–বাছাইয়ের সময় আবেদন বাতিল হওয়া ৩৩২ জনের মধ্যে ২০২০ সালে গেজেটভুক্ত হয়েছেন, এমন ৩০ জনের বিষয়ে খোঁজ করেছে প্রথম আলো। যাচাই-বাছাইয়ের নথি ঘেঁটে দেখা গেছে, অনেকে আছেন, যাঁরা অস্ত্রের কোনো প্রশিক্ষণ নেননি, প্রশিক্ষণের গ্রহণযোগ্য সনদও নেই অথবা মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার শর্তও পূরণ করতে পারেননি; কিন্তু তাঁরা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেয়েছেন।
তবে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ, মোতাহার হোসেন তাঁর প্রভাব খাটিয়ে সাজ্জাদ হোসেন ও আবু বক্কর সিদ্দিকের বাবাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি এনে দেন। তাঁদের কেউই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন।
অভিযোগ যাঁদের বিরুদ্ধে
হাতীবান্ধায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত করার জন্য প্রতিজনের কাছ থেকে দুই লাখ থেকে সাত লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। এই অনিয়মের পেছনে ছিলেন মোতাহার হোসেন, জহুরুল ইসলাম (জামুকার তৎকালীন মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব), সুলতান আহমেদ (জামুকার তৎকালীন সহকারী পরিচালক) ও মোতাহারের এপিএস আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে শ্যামল।
তবে এসবের সঙ্গে মোতাহার হোসেনের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেন তাঁর চাচা ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার আতোয়ার হোসেন আহমেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শ্যামল ও সুলতান আহমেদ অর্থের বিনিময়ে অনেককে মুক্তিযোদ্ধা করেছেন।
সুলতান আহমেদ এখন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য নয়। শ্যামলের দাবি, এ ধরনের কোনো সুযোগ তাঁর ছিল না। অভিযোগের বিষয়ে জামুকার সাবেক মহাপরিচালক জহুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মহাপরিচালকের কাউকে মুক্তিযোদ্ধা বানানোর সুযোগ নেই।
ভুয়া সনদে কারাগারে, পরে মুক্তিযোদ্ধা
২০১৪ সালে ভুয়া সাময়িক সনদ ও গেজেট দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার জন্য আবেদন করেন পাটগ্রামের নামাজীটারী গ্রামের লাইকুজ্জামান এবং রসুলগঞ্জ গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও নবিউল করিম (দুলাল)। যাচাইয়ের সময় ভুয়া প্রমাণিত হলে ইউএনওর করা মামলায় ২০১৮ সালে তাঁরা কারাগারে যান। একই বছর জামিনও পান। পরে ২০২৩ সালে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পান লাইকুজ্জামান ও আনোয়ার।
পাটগ্রামে যাছাই–বাছাইয়ের সময় বাদ পড়েন ১৪৮ জন। এই তালিকার যাঁরা পরে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন, এমন ২৫ জনের তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, অধিকাংশ ব্যক্তির উপস্থাপিত সাক্ষীদের বর্ণনায় বলা হয়েছে, তাঁরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নন। সহযোদ্ধার সাক্ষী নেই। পাটগ্রামের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার আবদুস ছাত্তার বলেন, অনেকে ভুয়া সনদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন।
ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে জামুকার করণীয় বিষয়ে জানতে চাইলে মহাপরিচালক শাহিনা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমানে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের কমিটি কার্যকর নেই। কাউন্সিল গঠিত হলে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
মোতাহার হোসেন হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামে তাঁর ইচ্ছেমতো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করেছেন। এসবের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার।মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক ও পাটগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সদস্যসচিব সায়েদুল ইসলাম
বয়স কম, তবু মুক্তিযোদ্ধা
২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল বেসামরিক গেজেটের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধা হন হাতীবান্ধার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের নবী হোসেন। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী নবী হোসেনের জন্ম ১৯৬২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর। এ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল ৯ বছর।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নতুনভাবে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বয়স ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ তারিখে ন্যূনতম ১৩ হতে হবে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জামুকার সাবেক মহাপরিচালক জহুরুল ইসলামের স্ত্রীর ব্যক্তিগত গাড়ি চালাতেন আবদুস ছাত্তার। নবী হোসেন তাঁর বাবা।
সম্প্রতি নবী হোসেনের বাড়ি উত্তর জাওরানীতে যান এই প্রতিবেদক। কোথায় যুদ্ধ করেছেন জানতে চাইলে সুনির্দিষ্ট করে কিছুই বলতে পারেননি তিনি।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক ও পাটগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সদস্যসচিব সায়েদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মোতাহার হোসেন হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামে তাঁর ইচ্ছেমতো ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করেছেন। এসবের সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার।