স্বাস্থ্য খাতে দ্রুত জায়গা করে নিচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

বার্লিনে বিশ্ব স্বাস্থ্য শীর্ষ সম্মেলনে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি জন–আস্থা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করতে পারে’ শীর্ষক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। জার্মানি, ১৩ অক্টোবরছবি: প্রথম আলো

স্বাস্থ্য খাতের তথ্য ও জ্ঞান পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈশ্বিকভাবে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। এ খাতে বৈশ্বিকভাবে দ্রুত জায়গা করে নিচ্ছে এআই। তবে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে যে বিপুল কারিগরি সক্ষমতা দরকার, তা উন্নয়নশীল অনেক দেশের নেই। এশিয়ার দেশগুলো এআই ব্যবহারের দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে।

জার্মানির রাজধানী বার্লিনে আজ রোববার শুরু হওয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য শীর্ষ সম্মেলনে এআই নিয়ে অনুষ্ঠিত এক অধিবেশনে বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন। বিশ্বের প্রায় তিন হাজার গবেষক–বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।

‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি জন–আস্থা বৃদ্ধিতে ভূমিকা পালন করতে পারে’ শীর্ষক এই অধিবেশনে বলা হয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সারা বিশ্বের মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনছে। তবে উদ্বেগেরও কারণ আছে।

মূল আলোচনা হয় স্বাস্থ্য খাতে এআইয়ের ব্যবহারের ভালোমন্দ নিয়ে। শুরুতে লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের স্বাস্থ্যনীতিবিশেষজ্ঞ লুসি গিলসন বলেন, স্বাস্থ্য খাতের ব্যবস্থাপনায় এআই কাজে লাগছে। আফ্রিকায় এর উদাহরণ আছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জেরেমি ফারার বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা বেশি নিচ্ছে ব্যক্তিমালিকানাধীন কিছু প্রতিষ্ঠান। এতে স্বাস্থ্য খাতে বৈষম্য বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে বলে মনে করেন আমাজন ওয়েব সার্ভিসের প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা রোল্যান্ড ইলিং। তিনি বলেন, ঝুঁকি হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের তথ্য নিয়ে প্রতিদিন কাজ হচ্ছে। রোগী তথ্য দিচ্ছে, কিন্তু রোগী ডেটাবেজের (তথ্যভান্ডার) সুবিধা কতটা পাচ্ছে, সেটি বড় প্রশ্ন।

সরকার কীভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্বাস্থ্যে ব্যবহার করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেন জার্মানির ম্যাক্স প্লাংক ইনস্টিটিউট অব সিকিউরিটি অ্যান্ড পাইরেসির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মিইয়াং চ্যা।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ম্যাক্স প্লাংক সোসাইটির সভাপতি প্যাট্রিক ক্রেমার বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করতে হবে মানুষের কল্যাণে।

স্বাস্থ্য সম্মেলনে আজ নানা বিষয়ে আরও ১৯টি পৃথক অধিবেশন হয়েছে।