ঢাকা-৪ আসন
কমিটি করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর অভিযোগ নিষ্পত্তি ও ফলাফলের গেজেট প্রকাশ না করতে নির্দেশ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসনের (যাত্রাবাড়ী ও শ্যামপুর) অনিয়মের অভিযোগ তুলে ১৮টি কেন্দ্রে আবার ভোট গ্রহণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আবেদন দেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সানজিদা খানম। কমিটি গঠন করে অভিযোগ তদন্ত করে সানজিদা খানমের করা এ–সংক্রান্ত আবেদন আইন অনুযায়ী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে সিইসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে অগ্রগতি জানিয়ে আগামী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন। রিটটি করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সানজিদা খানম।
অভিযোগসংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই আসনের গেজেট প্রকাশ (ফলাফলের) না করতে এবং শপথ নেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ না নিতে সিইসি ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারকে (রিটার্নিং কর্মকর্তা) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা–৪ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন সানজিদা খানম। বেসরকারি ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ট্রাক প্রতীক) আওলাদ হোসেনকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। ১৮টি কেন্দ্র নিয়ে ৭ জানুয়ারি ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের (রিটার্নিং কর্মকর্তা) কাছে ও ৮ জানুয়ারি সিইসি বরাবর পৃথক আবেদন দেন সানজিদা খানম।
ওই আবেদন করে ফল না পেয়ে সানজিদা খানম আজ রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোতাহার হোসেন, এ বি এম আলতাফ হোসেন ও শাহ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমি।
নির্বাচন চলাকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আওলাদ হোসেন একজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে, চাপ প্রয়োগ করে আরেকজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার যোগসাজশে নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তন করেন—এমন অভিযোগসহ ৮ জানুয়ারি সিইসি বরাবর একটি আবেদন দেন সানজিদা খানম। ১৮টি কেন্দ্রের নম্বর উল্লেখ করে আবেদনে সানজিদা খানম অভিযোগ করে বলেন, কেন্দ্রগুলোর প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া রেজাল্ট শিট তৈরি করে এবং নৌকা মার্কার পোলিং এজেন্টদের কোনো রেজাল্ট শিট না দিয়ে কেন্দ্র ত্যাগ করা হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ওই কেন্দ্রগুলোতে অনিয়ম করে জাল ভোট প্রদান ও বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটে কারচুপি করে—এমন অভিযোগ নিয়ে ৭ জানুয়ারি বিভাগীয় কমিশনার (ঢাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার) কাছে সানজিদা লিখিত আবেদন দেন বলে সিইসির কাছে করা আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। সিইসির কাছে করা আবেদনে ঢাকা–৪ আসনের ফলাফল স্থগিত করে ওই কেন্দ্রগুলোর ভোট আবার গ্রহণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন সানজিদা খানম।