চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে ষড়যন্ত্র প্রতিহতের ঘোষণা বিভিন্ন দলের নেতাদের
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। দুবাইভিত্তিক একটি কোম্পানির হাতে টার্মিনালটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
নেতাদের অভিযোগ, ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে চট্টগ্রাম বন্দরসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হয়েছে। এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা কৌশলে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা এসব অভিযোগ করেছেন। রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও গণ-অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে বন্দর নিয়ে সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে বলে ঘোষণা দেন তাঁরা। নেতারা বলেন, প্রয়োজনে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। বন্দর রক্ষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সহযোগিতাও চেয়েছেন তাঁরা।
আজকের বিক্ষোভ সমাবেশটির আয়োজন করে ‘দেশ বাঁচাও, বন্দর বাঁচাও আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন। এতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন করা হচ্ছে। অদক্ষতার কথা বলে কোনো অজুহাতে চট্টগ্রাম বন্দরকে অন্য কারও হাতে জিম্মি করতে দেওয়া হবে না।
বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র বন্ধের উদ্যোগ নিতে নৌপরিবহন উপদেষ্টাকে আগামী ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম বেঁধে দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর প্রশ্নের সুরে বলেন, দেশীয় কোম্পানি বন্দর পরিচালনা করছে, সেখানে নতুন করে কেন বিদেশি কোম্পানিকে নিয়ে আসতে হবে? জাতীয় স্বার্থে বিদেশি কোম্পানির হাতে বন্দর বন্ধক দেওয়ার অপতৎপরতা বন্ধ করুন। অন্যথায় দেশের জনগণ আবারও রাজপথ নামবে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, গণফোরামের কো-চেয়ারম্যান সুব্রত চৌধুরী, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্যসচিব মুজিবুর রহমান মঞ্জু, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম প্রমুখ।