মেঘনার অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের সঙ্গে চাঁদপুরের নারী মন্ত্রীর সংশ্লিষ্টতা আছে: নদী কমিশনের চেয়ারম্যান
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, নদী দখলদারদের পেছনে রাজনৈতিক শক্তি আছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে যাঁরা বালি উত্তোলন করছেন, তাঁদের সঙ্গে চাঁদপুরের একজন নারী মন্ত্রীর সম্পর্ক আছে।
আজ রোববার বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের নদ–নদী: সংজ্ঞা ও সংখ্যা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন।
প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সভাপতির বক্তব্য দেন মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, মেঘনা থেকে এক ব্যক্তি ৬৬৮ কোটি সিএফটি বালু চুরি করেছেন। ওই বালুর আর্থিক মূল্য ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। তাঁকে ২৬৭ কোটি টাকা রয়্যালটি দেওয়ার কথা বলে তাঁর চুরিকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় নদী কমিশনের চেয়ারম্যান আরও বলেন, হায়েনারা দল বেঁধে মেঘনায় হামলে পড়েছে। মেঘনা থেকে আবার বালু তোলার চেষ্টা চলছে। এখানে শত শত ড্রেজার দিয়ে বালু তোলা হবে। এতে নদীর ক্ষতি হবে, মাছের ক্ষতি হবে, পরিবেশের ক্ষতি হবে। এদের থেকে নদীকে রক্ষা করা যাচ্ছে না। কারও নাম উল্লেখ না করে মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, চাঁদপুরের এক নারী মন্ত্রীর সঙ্গে এদের সম্পর্ক আছে।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ইজারা দেওয়ার নামে কর্ণফুলী নদী বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেলা পরিষদ জড়িত। সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। তিনি আরও বলেন, কর্ণফুলী নদী পরিবেশের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নদী। একই সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ নদী। বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ঘোষণা করে নদীর জমি খণ্ড খণ্ড করে মেরে ফেলা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক উপপরিচালক মো. আখতারুজ্জামান তালুকদার। তিনি বলেন, দেশে নদীর সংখ্যা ১০০৮টি। এর মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ নদী পদ্মা। পদ্মা নদীর দৈর্ঘ্য ৩৪১ কিলোমিটার। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেন, সবার উচিত জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের কাজে সহায়তা করা।