সেন্ট মার্টিনে মোখার আঘাতে ভেঙে পড়ছে দুর্বল স্থাপনা

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে শাহ পরীর দ্বীপ ও সেন্ট মার্টিনে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ছবিটি শাহ পরীর দ্বীপের জালিয়া পাড়া এলাকার
ছবি: সাজিদ হোসেন

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে টেকনাফ উপজেলার সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ঘণ্টায় ১৪৭ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাচ্ছে। ফলে টিনের চালাসহ দুর্বল স্থাপনাগুলো ভেঙে পড়ছে। মোখার প্রভাবে আগামীকাল সোমবার সারা দেশে বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক আসাদুর রহমান আজ রোববার বিকেল চারটার এক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তর এর আগে বেলা একটায় জানিয়েছিল, বেলা তিনটা নাগাদ মোখার কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করবে। ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছে কক্সবাজার ও টেকনাফে। সেন্ট মার্টিনে এখনো তাণ্ডব চলছে। সেখানে বেলা একটার সময় ছিল বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার, আড়াইটায় তা বেড়ে ১৪৭ কিলোমিটারে পৌঁছে। এখনো তা বয়ে যাচ্ছে।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, সেন্ট মার্টিনের প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূর দিয়ে মোখা অতিক্রম করেছে। তবে এর ৫০ শতাংশের বেশি অংশ মিয়ানমারের ওপর দিয়ে গেছে। সেন্ট মার্টিনে ৫০ শতাংশ বা তার বেশি অংশ এলে তার বড় ধরনের প্রভাব কক্সবাজার পর্যন্ত থাকত।

উপপরিচালক আসাদুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র চলে যাওয়া মানেই ঝড় শেষ নয়। এর শেষ ভাগ যেতেও সময় লাগবে। মোখার শেষ ভাগ সেন্ট মার্টিন অতিক্রম করতে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় লাগবে। এরপর তা শিথিল হয়ে যাবে।

সেন্ট মার্টিনে জলোচ্ছ্বাস ও ক্ষয়ক্ষতির চিত্র এখনো জানা যায়নি বলে উল্লেখ করেন আসাদুর রহমান। তিনি বলেন, সেখানে আবহাওয়া অফিসের তিন তলা ভবন কাঁপছে। আশপাশের টিনের চালা, দুর্বল স্থাপনা ভেঙে পড়ছে। ১৪৭ কিলোমিটার বাতাসে দুর্বল স্থাপনা টিকে থাকে না। তবে জলোচ্ছ্বাসের খবর এখনো পাওয়া যায়নি। তিনি জানান, আগামীকাল থেকে ঢাকা ও সারা দেশে বৃষ্টি ছড়িয়ে যেতে পারে।