জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি ছাত্র অধিকার পরিষদের

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনছবি: আশিকুজ্জামান

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চলতি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে থেকেই শিক্ষার্থী ভর্তিতে পোষ্য কোটা বাতিল দাবি জানিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। সোমবার এ দাবিতে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রেজাউল করিমের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। এতে সংগঠনটির সদস্য রায়হান হাসান, অপু মুনসি, তাওহিদ ইসলাম ও সোহান প্রামাণিকের স্বাক্ষর ছিল।

স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ‘দেশে মেধার গুরুত্ব প্রদান করে একটি প্রগতিশীল, মুক্তচিন্তা ও সৃজনশীল শিক্ষার পরিবেশ তৈরিতে ২০১৮ সাল থেকে বৈষম্য ও কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা, যা ২০২৪ সালে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছায়। শত শত শিক্ষার্থী হতাহতের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে আমরা একটি বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, হাজার হাজার শিক্ষার্থীর রক্তের বিনিময়ে যে নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সেখানেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বিদ্যমান। এটা ২৪-এর বিপ্লবের চেতনাবিরোধী।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চলতি ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতেও পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে। এ কোটায় প্রতি বিভাগে দুজন করে পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ পাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩৮টি বিভাগ ও দুটি ইনস্টিটিউট রয়েছে।