বিস্ফোরণস্থল থেকে ছিলেন আধা কিলোমিটার দূরে, লোহার পাত ছিটকে গিয়ে যুবকের মৃত্যু
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় সালেহ কার্পেট নামের একটি কারখানার সামনের খোলা জায়গায় ছিলেন মো. সালাহউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। এ সময় কাছেই শোনা যায় বিস্ফোরণের শব্দ। হঠাৎ একটি লোহার পাত উড়ে এসে সালাহউদ্দিনের শরীরে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি।
আজ শনিবার বিকেল ৪টার দিকে সীতাকুণ্ডের ‘সীমা অক্সিজেন লিমিটেডের’ প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই প্ল্যান্টের অবস্থান উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকায়। সেখান থেকে সালেহ কার্পেট কারখানা প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে। অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় সালাহউদ্দিনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এই বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন অনেকে।
এর আগে বিস্ফোরণস্থল থেকে লোহার টুকরার আঘাতে আধা কিলোমিটার দূরে এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তাঁর নাম মো. শামসুল আলম। সে সময় তিনি উপজেলার জাহানাবাগ এলাকায় একটি দোকানে বসেছিলেন। শামসুল আলমের জামাতা মোহাম্মদ সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নিহত সালাহউদ্দিনের বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। লোহার পাতের আঘাতে আহত হওয়ার পর সহকর্মীরা তাকে ২ কিলোমিটার দূরে ভাটিয়ারির বিএসবিএ হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সালেহ কার্পেট কারখানায় পণ্য নিয়ে আসা নূর মোহাম্মদ নামের এক ট্রাকচালক জানান, কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী কারখানাটি ভাড়া নিয়ে গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছিলেন। এই ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন সালাহউদ্দিন। তিনি মালামাল গ্রহণ করে তা যথাস্থানে রাখতেন এবং চালানে সই করতেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার জানান, সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ ঘটনায় ছয়টি মরদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের নাম সালাহউদ্দিন। তাঁর পুরো ঠিকানা এখনো পাওয়া যায়নি।