একমাত্র ছেলেই ক্যানসারে আক্রান্ত, বাঁচাতে মা-বাবার আকুতি
অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা মো. রিদোয়ান আহমেদের (২২)। এই অবস্থাতেই চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে সবে ডিপ্লোমা পাস করেছেন তিনি। স্বপ্ন দেখেছিলেন, পড়া শেষে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করবেন; কিন্তু হলো না। এখন তাঁর দিন কাটছে হাসপাতালে ঘুরে ঘুরে।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সৈয়দবাড়ি গ্রামে রিদোয়ানের বসবাস। পরিচিতজনেরা তাঁকে চেনেন রিফাত নামে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বুকব্যথা উঠলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন তিনি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর বুকে টিউমার ধরা পড়ে। এরপর পানদোকানি বাবা আবদুল হামিদ ও গৃহিণী মা খতিজা বেগমের যুদ্ধ শুরু হয়। তাঁরা সব সঞ্চয় খরচ করেন একমাত্র ছেলের চিকিৎসায়। নিতে হয় ঋণও; কিন্তু রিদোয়ান সুস্থ হননি।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে রিদোয়ানের স্বজনেরা জানান, টিউমারের পাশাপাশি রিদোয়ান ক্যানসারে আক্রান্ত। তাঁর ওজন দিন দিন কমে যাচ্ছে। বর্তমানে তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কেমোথেরাপি ও সার্জারির সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকেরা। এ জন্য চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়।
রিদোয়ানের বাবা আবদুল হামিদ ও মা খতিজা বেগম ছেলের এখন পুরোপুরি ভেঙে পড়েছেন। তাঁর কীভাবে এত টাকা জোগাড় করবেন, তা জানেন না। এ জন্য সবার আর্থিক সহায়তার আশা করছেন। আবদুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘দেশে অনেক মানবিক মানুষ আছেন। তাঁরা সাহায্য করলে আমরা ছেলেটাকে বাঁচাতে পারব।’
রিদোয়ানের বাবা বলেন, বাড়ির পাশে পানের ছোট দোকান ছিল। সেটিও অনেক দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিবারের খরচ চলছে অন্যের সহযোগিতায়। ইতিমধ্যে ছেলের পেছনে ধারদেনা করে তিন লাখ টাকা খরচ করা হয়েছে।
রিদোয়ানের গ্রামের বাসিন্দা মো. আবু সায়েম ও রহিম উদ্দিন সিকদার দুজনই পেশায় শিক্ষক। তাঁরা শুরু থেকেই রিদোয়ানের পরিবারকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন। তাঁরা প্রথম আলোকে বলেন, সবার সহায়তায় নিঃস্ব পরিবারের মধ্যে আশার আলো সঞ্চারিত হবে। বাবা-মা ফিরে পাবেন একমাত্র সন্তানকে।
রিদোয়ানের জন্য বিকাশ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পাঠানো যাবে। বিকাশ নম্বর হলো ০১৮৩১৭১২৯৯৩। ব্যাংক হিসাব নম্বর: ০১০০০৮৪৭৭৫৬১৯। নাম: মো. রহিম উদ্দিন সিকদার, জনতা ব্যাংক, পোমরা শাখা, রাঙ্গুনিয়া। রাউটিং নম্বর: ১৩৫১৫৬১৯৫।