সাবেক স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক লতা মারা গেছেন

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটফাইল ছবি

সাবেক স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ চিকিৎসক লতা আক্তার (২৭) আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে মারা গেছেন।

রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন লতা। তাঁর মৃত্যুর তথ্যের সত্যতা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম।

ফুফাতো ভাই সজীব আহমেদ আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, লতা মারা গেছেন। তাঁর মৃত্যুর সময় হাসপাতালে এক স্বজন উপস্থিত ছিলেন। তিনি এখন হাসপাতালের দিকে যাচ্ছেন। হাসপাতালের প্রক্রিয়া শেষে লতার মরদেহ নরসিংদীতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তাঁকে দাফন করা হবে।

আরও পড়ুন

লতার বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মরজাল ইউনিয়নের ব্রাহ্মণের টেক গ্রামে। গত রোববার বেলা পৌনে একটার দিকে গ্রামের বাড়িতে লতার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁর সাবেক স্বামী মো. খলিলুর রহমান (৩৫)। তিনি নিজের গায়েও আগুন ধরান। খলিলুর গত সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

লতার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা।

লতার পরিবারের ভাষ্য, খলিলুর পেশায় গাড়িচালক ছিলেন। প্রেম ও বিয়ের সময় পেশার কথা গোপন করেছিলেন খলিলুর। বিয়ের পর তা জানতে পেরে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটান লতা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে লতার গায়ে খলিলুর আগুন ধরিয়ে দেন। তিনি নিজের গায়েও আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করেন।

আরও পড়ুন

ঘটনা নিয়ে অবশ্য ভিন্ন ব্যাখ্যা দেন খলিলুরের বড় ভাই মুদিদোকানি মো. জলিল। গত মঙ্গলবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, খলিলুর হাসপাতালে তাঁদের বলেছেন, দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে গায়ে আগুন লাগান।

গ্রামের বাড়িতে লতা ও তাঁর মা থাকতেন। তাঁর বাবা মারা গেছেন। বড় দুই ভাই-বোন ইতালিপ্রবাসী। রাজধানীর শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে লতা নারায়ণগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে খলিলুরের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকায়।

আরও পড়ুন