চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণ কারও হাতে নেই
ছাত্রলীগকে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি। ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনটির নেতা-কর্মীরা ধারালো অস্ত্র হাতে বারবার নিজেদের মধ্যে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন। বিতর্কিত হয়েছেন প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, হলের কক্ষ দখল, কর্মকর্তাদের মারধর, যৌন হয়রানি, ভাঙচুর ও শিক্ষক–ঠিকাদারদের হুমকি দিয়ে। বেশির ভাগ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারেনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকেরা বলছেন, ছাত্রলীগ এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণহীন। সুযোগ পেলেই সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ক্যাম্পাসে ভাঙচুর চালাচ্ছেন। তাঁদের কাছ থেকে শিক্ষকেরাও রেহাই পাচ্ছেন না। দুর্ব্যবহার ছাড়াও শিক্ষকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত বছরের জুলাইয়ে ৩৭৬ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে সংগঠনের কেন্দ্রীয় দপ্তর। ওই কমিটির অন্তত ২০ নেতারই ছাত্রত্ব নেই। তাঁরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হলের কক্ষ দখল করে থাকছেন। এমনকি হলের নিয়ন্ত্রণও তাঁদের হাতে।
তাঁরা এত দিন জড়িয়েছেন নানা অপকর্মে। সর্বশেষ গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি রেজাউল হকের অনুসারীরা প্রথম আলোর প্রতিনিধি মোশাররফ শাহকে বেধড়ক মারধর করেন। কয়েক ঘণ্টা পর গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করে কেন্দ্র।
ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে আওয়ামী লীগের নেতারাও ক্ষুব্ধ। গত শুক্রবার চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও ১৪ দলের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে নিজের ক্ষোভ ঝাড়েন। তিনি ছাত্রলীগের লাগাম টেনে ধরার কথা বলেন। পরে খোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কিছু নেতার কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। প্রশাসনের দুর্বলতার কারণেই কিছু অছাত্র অপকর্মে জড়াচ্ছেন। তাঁদের কর্মকাণ্ডে সরকার ও দল বিব্রত।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রাজনীতি দুই পক্ষে বিভক্ত। একটি পক্ষ নিজেদের শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেন। আরেকটি পক্ষ সাবেক সিটি মেয়র ও চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী। এই দুই পক্ষের রয়েছে ১১টি উপপক্ষও।
ছাত্রলীগের ‘লাগামহীন’ কর্মকাণ্ড নিয়ে মহিবুল হাসান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, দীর্ঘদিন সরকারে থাকায় দেখা গেছে বহু অছাত্র কোনো ধরনের আদর্শের পরোয়া করছেন না। তাঁরা ভবিষ্যতে চাকরির সুবিধা, ক্যাম্পাসে নানা কিছু করার জন্য নিজেদের ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দিচ্ছেন। অছাত্রদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বারবার বলা হলেও কাজ হচ্ছে না। শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, ক্যাম্পাসের হল থেকে অছাত্রদের বের করে দিলে সংঘর্ষ ৯০ শতাংশ কমে যাবে।
কী অদৃশ্য কারণে অপকর্মে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে না, তা জানা নেই। আমি বারবার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলি। আমি এসব নিয়ে ক্ষুব্ধ।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনও সংঘর্ষ, ভাঙচুরসহ অপকর্মে জড়িত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, সংঘর্ষ, ভাঙচুর কিংবা অন্য কোনো সমস্যার সমাধান করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিকে দায়িত্ব নিতে হবে। কোনো লোকদেখানো ব্যবস্থা নিলে হবে না।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘কী অদৃশ্য কারণে অপকর্মে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারে না, তা জানা নেই। আমি বারবার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলি। আমি এসব নিয়ে ক্ষুব্ধ।’
চাঁদাবাজিসহ একের পর এক অপরাধ
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজিতে এখন উপাচার্য শিরীণ আখতার থেকে ঠিকাদার—সবাই অতিষ্ঠ। কখনো উপাচার্যের কাছে চাঁদা দাবি করছেন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের এই নেতা-কর্মীরা। আবার কখনো চাঁদার দাবিতে ঠিকাদারকে হুমকি দিচ্ছেন। এতে নির্মাণকাজও বন্ধ করতে হয়েছে ঠিকাদারদের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে ৭ সেপ্টেম্বর রাতে। সেদিন কিছু শিক্ষার্থী শাটল ট্রেনের ছাদে চড়ে যাওয়ার সময় হেলে পড়া গাছের ধাক্কায় আহত হন। এ ঘটনাকে ‘পুঁজি’ করে রাতেই মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে ভাঙচুর করা হয় উপাচার্যের বাসভবন, পুলিশ বক্স, শিক্ষক ক্লাব। এখানেই শেষ হয়। একে একে ৬৫টি যানবাহন মুহূর্তেই ভাঙচুর করা হয়। এসব ঘটনায় ১২ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে ভাঙচুর-চাঁদা দাবির দুটি মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এখনো একজনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে, তাঁরা অনেকেই ছাত্রলীগের পদধারী নন। আবার অনেক পদধারীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় না। এ কারণে ছাত্রলীগ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না।
৭ সেপ্টেম্বরের ঘটনায় করা একটি মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতারের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা না দিলে উপাচার্যের বাসভবন জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন নেতা-কর্মীরা। এ মামলার সাত আসামির ছয়জনই ছাত্রলীগের দুই উপপক্ষের রাজনীতিতে যুক্ত। এর মধ্যে শাখা ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলামও আছেন। আরেক মামলার এজাহারে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক আশরাফ উদ্দিনের কাছে ৫ সেপ্টেম্বর সাত আসামি পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার জন্য আসেন।
অন্যদিকে ২৬ আগস্ট চাঁদা না পেয়ে ক্যাম্পাসের দ্বিতীয় কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেন শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু মুন্সি। ২৮ আগস্ট ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী ছৈয়দ জাহাঙ্গীর ফজলকে মারধর করেন। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে নিরাপত্তা কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আবদুর রাজ্জাককে লাঞ্ছিত করেন রাজু।
ছাত্রলীগের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে নির্মাণকাজও বন্ধ রেখেছিলেন ঠিকাদারেরা। বর্তমানে ক্যাম্পাসে ছোট-বড় অন্তত ছয়টি প্রকল্পের নির্মাণকাজ চলছে। এসব প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ৮০ কোটি টাকা। দুই ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের নিয়মিত চাঁদা দিয়েই কাজ করতে হয়। কিন্তু বনিবনা না হলে নেতা-কর্মীরা শ্রমিকদের মারধর করেন। ঠিকাদারের ওপর আক্রমণ করেন। এমনকি চাঁদা না পেলে রড, ইট, সিমেন্ট, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিসহ সব ধরনের নির্মাণসামগ্রী চুরি করেন। প্রশাসনকে জানিয়েও খুব একটা লাভ হয় না।
চাঁদাবাজি, মারধরের বিষয়ে প্রশ্ন করলে স্পষ্ট করে কোনো উত্তর দিতে পারেননি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি রেজাউল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছে, তাঁরা অনেকেই ছাত্রলীগের পদধারী নন। আবার অনেক পদধারীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যায় না। এ কারণে ছাত্রলীগ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না। একই সুরে সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর বিরুদ্ধে তথ্য–উপাত্ত সংগ্রহ করে কঠোর ব্যবস্থায় নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে গত বছরের ১৭ জুলাই রাতে ক্যাম্পাসে পাঁচ তরুণের হাতে এক ছাত্রী যৌন নিপীড়ন ও মারধরের শিকার হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেন এলাকায় পাঁচ তরুণ ওই ছাত্রীকে বেঁধে বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা এক বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করা হয়। এক দিন পর এ ঘটনায় হাটহাজারী থানায় মামলা হয়। এ ঘটনায় জড়িত দুজনও ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন।
৫ বছরে ১৬২ বার সংঘর্ষ
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ১১টি উপপক্ষের মধ্যে গত পাঁচ বছরে হলের কক্ষ দখল, সিনিয়র-জুনিয়র বিতণ্ডা, চাঁদার ভাগ-বাঁটোয়ারাসহ নানা কারণে ১৬২ বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবারই ধারালো অস্ত্রের ‘মহড়া’ দিয়েছেন নেতা-কর্মীরা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কে লাগানো আছে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা। ছাত্রলীগের সংঘর্ষ বাধলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরাও ঘটনাস্থলে চলে আসেন।
তবু অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করা হয় না। ছাত্রলীগের উপপক্ষ সিক্সটি নাইন ও সিএফসির নেতা-কর্মীরা ৩০ মে ও ২১ সেপ্টেম্বর কয়েক দফায় সংঘর্ষে জড়ান। এসব সংঘর্ষে অন্তত এক শ নেতা-কর্মীর হাতে ছিল ধারালো রামদা, লোহার রড ও ক্রিকেট স্ট্যাম্প। ছয়জন অস্ত্রধারীর ছবি ও পরিচয় শনাক্ত করে ৩ জুন ৩ নম্বর পৃষ্ঠায় এবং ২৩ সেপ্টেম্বর শেষ পৃষ্ঠায় সংবাদ প্রকাশ করে প্রথম আলো। কিন্তু এখনো কাউকে আটক করা হয়নি।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফি উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ভাঙচুরের পর করা মামলার আসামি ও অস্ত্রধারীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বিভিন্ন সময় হলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
অপরাধে জড়িত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে কখনো কখনো সমালোচনার মুখে ‘লোকদেখানো’ ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ। যেমন ২০২১ সালের অক্টোবরে সিক্সটি নাইন ও সিএফসির ১২ নেতা-কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে ‘মানবিক’ দিক বিবেচনা করে তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
এবারও কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর তড়িঘড়ি করে অছাত্র ও বহিষ্কৃতদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে তাঁদের হল ছাড়তে হবে। তবে একই ধরনের বিজ্ঞপ্তি আগেও দেওয়া হয়েছিল। ২৭ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ১৫ মার্চের মধ্যে হল ছাড়তে হবে। নইলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ছাত্রত্ব নেই, এমন একজনকেও হল থেকে বের করতে পারেনি প্রশাসন।
প্রশাসনিক কার্যক্রমে যুক্ত তিন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করে প্রথম আলোকে বলেন, কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও ঝামেলায় পড়তে হয়। ক্যাম্পাস অচল করে দেওয়ার হুমকি দেন নেতা-কর্মীরা। ফলে ‘ম্যানেজ’ করে কোনোরকমে বিশ্ববিদ্যালয় চালানো হচ্ছে।
ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে উপাচার্য শিরীণ আখতার প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, আগের ঘটনাগুলোর বিষয়ে তদন্ত কমিটি হয়েছে। কয়েকটি ঘটনায় মামলা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
তবে প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণে বারবার সংঘর্ষ, ভাঙচুর, চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসন পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। কর্তৃপক্ষ কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে যাঁরা ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তাঁরাও জানেন যে শাস্তির মুখোমুখি তাঁদের দাঁড়াতে হবে না।
আবদুল হক আরও বলেন, ছয় বছর ধরে আবাসিক হলে আসন বরাদ্দ দেওয়া বন্ধ। নিয়মিত ছাত্ররা হলে থাকার সুযোগ পাচ্ছেন না। যাঁর শক্তি বেশি, তিনিই হল দখল করে থাকছেন। এটিও বারবার সংঘর্ষ হওয়ার বড় কারণ।