সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানালেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের নেতা
ঢাকার সায়েন্স ল্যাব এলাকা থেকে সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি তুলেছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের এক নেতা। ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
আগের রাতের একটি ঘটনার জের ধরে আজ বুধবার ঢাকা কলেজের ১৮৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন দুপুরে কলেজটির দুটি বাসে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা ভাঙচুর চালান। এরপর দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে ঢাকা কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আ ক ম রফিকুল ইসলাম। সেখানে দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘ঢাকা কলেজের আহত দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। কলেজের স্থাপনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরাসরি হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে, যা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। হামলায় জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা হামলার নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদের পদত্যাগ করতে হবে। এর আগের সব বিশৃঙ্খলার সঙ্গে সিটি কলেজের কিছু শিক্ষার্থী দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। তাই পরবর্তী সময়ে সংঘর্ষ এড়াতে সিটি কলেজকে স্থানান্তর করতে হবে।’
ঢাকা কলেজের শিক্ষকের উত্থাপিত অন্য দাবিগুলো হলো সিটি কলেজের যেসব শিক্ষক আজকের নিন্দনীয় ঘটনায় সরাসরি জড়িত ও নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে সশরীর ক্যাম্পাসে এসে পরিদর্শন করতে হবে। ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি মেনে নিয়ে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম ইলিয়াস বলেন, ‘ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে যখন সেনাবাহিনী ঢুকে পড়ে, তখনো পুলিশ ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে এসেছিল। দুই দিকে ঢিলের মাঝখানে পড়ে আমার হাতেও ঢিল লেগেছে। ছাত্ররা উদ্ধার করে আমাকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসে। ক্যাম্পাসে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া এবং পিটুনির ফলে আমাদের ছাত্ররা আহত হয়েছে। আশা করি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এর সমাধান করবেন। যাতে আমাদের ছাত্ররা শান্ত থাকে ও কলেজের কার্যক্রম সচল রাখা যায়।’
সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।