পাঁচ বছরে দেশে এসেছেন প্রায় ২০ লাখ পর্যটক
২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে প্রায় ২০ লাখ বিদেশি পর্যটক দেশে এসেছেন। আজ রোববার জাতীয় সংসদে এ তথ্য জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য দেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) তথ্য উল্লেখ করে পর্যটন খাত থেকে কী পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়, জাতীয় সংসদের সামনে তা তুলে ধরেন পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। তিনি জানান, পর্যটন খাত থেকে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়।
২০১৭ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে ১৯ লাখ ৯১ হাজার ২৩০ জন পর্যটক দেশে আসেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এতে সরকারের রাজস্ব আয় হয় ১২ হাজার ৭৮৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৭ সালে ৫ লাখ ৬৬৫, ২০১৮ সালে ৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৩০, ২০১৯ সালে ৬ লাখ ২১ হাজার ১৩১, ২০২০ সালে ১ লাখ ৮১ হাজার ৫১৮ এবং ২০২১ সালে ১ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৬ জন পর্যটক দেশে আসেন।
৫২৬৫ সম্পত্তি বিনিময় মামলা
সরকারি দলের সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানান, দেশে বর্তমানে ৫ হাজার ২৬৫টি সম্পত্তি বিনিময় মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষাধীন।
হাজি সেলিমের আরেক প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী জানান, দেশে বর্তমানে ‘নদী সিকস্তি জমি’ ৩ লাখ ৯১ হাজার ২৮৪ দশমিক ৩৪৪৩ একর। এই জমির জন্য কোনো খাজনা আদায় করা হয় না।
কৃষিতে ভর্তুকি প্রায় ৯৮ হাজার কোটি
সরকারি দলের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক জানান, আওয়ামী লীগ ক্ষমতা নেওয়ার পর ২০০৯-১০ থেকে ২০২১-২০২২ অর্থবছর পর্যন্ত কৃষিতে সরকার ৯৭ হাজার ৮৭৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। এর মধ্যে সারে ৯৫ হাজার ১৬১ কোটি ৫ লাখ এবং বিদ্যুতে ভর্তুকি ১ হাজার ৯৬২ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষিতে ভর্তুকির জন্য ১৬ হাজার কোটি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতির কারণে বরাদ্দ আরও বাড়তে পারে।