ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির প্রকৃতি ও ধরন’ বিষয়ক কমিটির সঙ্গে মঙ্গলবার দুই ধাপে ছাত্রসংগঠনগুলোর মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। বিকেলে ছাত্রশিবির সেই আলোচনায় অংশ নিলে সভা ছেড়ে চলে আসে ৩ ছাত্রসংগঠন। ওই তিনটি সংগঠন হচ্ছে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ)।
সভায় ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি থাকলে তা কেমন হবে, ডাকসু নির্বাচনসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বেলা ১১টার দিকে প্রথম দফা সভায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র কাউন্সিল, ছাত্র ফেডারেশন, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ, ইনকিলাব মঞ্চ, একতার বাংলাদেশ, স্টুডেন্টস রাইট ওয়াচসহ কয়েকটি সংগঠন অংশ নেয়।
দ্বিতীয় দফা আলোচনায় বেলা তিনটায় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ মার্ক্সবাদী), ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ, এন্টি ফ্যাসিস্ট কোয়ালিশন অংশ নেয়। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সভায় যোগ দেন।
ছাত্রশিবির সভায় যোগ দেওয়ায় প্রশ্ন তোলেন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সভায় আমি বলি, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন ধরে যারা কাজ করছে, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে তাঁরা কখনো এক প্ল্যাটফর্মে মঞ্চ শেয়ার করেনি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শিবিরের বিতর্কিত ভূমিকার কারণে পরিবেশ পরিষদের মাধ্যমে ছাত্রসংগঠনগুলো সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়।’
তাই অন্তত এই প্ল্যাটফর্মে ছাত্রসংগঠনগুলো ছাত্রশিবিরের সঙ্গে বসতে পারে না বলে যুক্তি দেন জুবেল। তিনি বলেন, ‘আমরা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ) পরে আর সেই মতবিনিময় সভায় অংশ নিইনি।’