কাকরাইল মসজিদে জুমার নামাজ পড়লেন মাওলানা সাদপন্থীরা
রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করলেন তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। আজ শুক্রবার জুমার আগে হাজার হাজার সাদপন্থী একত্রে কাকরাইল মসজিদে যান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাদপন্থীরা মসজিদে প্রবেশের সময় কিছুটা হট্টগোল হয়। তবে পরে কোনো সমস্যা হয়নি।
১২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সরকারের স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জোবায়েরপন্থী ওলামা-মাশায়েখদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, তাবলিগ জামাতের দুটি পক্ষের বিবদমান সমস্যার সমাধানে আগামী বছরের এপ্রিলে পদক্ষেপ নেবে সরকারের স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম মন্ত্রণালয়। সে পর্যন্ত দুই পক্ষই আগের নিয়মে কাকরাইল মসজিদে থাকবে, টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবে।
আগের নিয়ম অনুযায়ী, কাকরাইল মসজিদ ও মারকাজ (কেন্দ্র) চার সপ্তাহ জোবায়েরপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পরের দুই সপ্তাহ থাকবে সাদপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে।
সাদপন্থীদের দুই সপ্তাহ আজ থেকে শুরু হওয়ার কথা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহ শুরু উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সাদপন্থীরা ঢাকায় আসেন। তাঁরা কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় জড়ো হয়ে একত্রে কাকরাইল মসজিদের দিকে যান।
কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থীরা প্রবেশের সময় কিছুটা হট্টগোল হলে পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, সবাই জুমার নামাজ আদায় করেছেন। কোনো ঝামেলা হয়নি। নামাজ শেষে মুসল্লিরা চলে যাচ্ছেন।
আগের সমঝোতা অনুযায়ী, মাওলানা সাদ কান্ধলভী বাংলাদেশে আসতে পারবেন না। বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্বের আয়োজন করবে মাওলানা জোবায়ের আহমদপন্থীরা। দ্বিতীয় পর্বের আয়োজন করবে মাওলানা সাদপন্থীরা।
যদিও সাদপন্থীরা মাওলানা সাদকে বাংলাদেশে আসতে অনুমতি দেওয়া দেওয়ার দাবি করছেন।
চাঁদপুর থেকে কাকরাইল মসজিদে এসেছিলেন সাদপন্থী আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়ম অনুসারে আজ এখানে এসেছি। আমরা চাই, নিয়ম মেনে আমাদের বাধা না দেওয়া হোক। আমাদের বিশ্ব ইজতেমা করতে দেওয়া হোক। আমরা কোনো ঝামেলা চাই না।’