বেসিক ব্যাংকের আবদুল হাইয়ের সহযোগীকে সাত দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই ওরফে বাচ্চুসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলার আসামি আমিন আহমেদকে সাত দিনের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের করা আবেদনের নিষ্পত্তি করে আজ রোববার এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ।

এর আগে ওই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আমিন আহমেদ, যার শুনানি নিয়ে ১০ জুন আদেশ দেওয়া হয়। আমিন আহমেদকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময়ে তাঁকে হয়রানি বা গ্রেপ্তার না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।

হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আপিল বিভাগে আবেদন করে। ১২ জুন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দিয়ে দুদকের আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আমিন আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম হারুনুর রশীদ খান।

পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের দেওয়া ১০ জুনের আদেশ বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ। সাত দিনের মধ্যে আমিন আহমেদকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা না হলে আইন অনুসারে তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

এর আগে আবদুল হাই ওরফে বাচ্চু, তাঁর স্ত্রী শিরিন আক্তার, আবদুল হাইয়ের ভাই শেখ শাহরিয়ার ওরফে পান্না, আবদুল হাইয়ের মেয়ে শেখ রাফা হাই, ছেলে শেখ ছাবিদ হাই ও দলিলদাতা আমিন আহমেদের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর মামলাটি করে দুদক। অভিযোগ অনুসারে, আবদুল হাই নিজ নামে এবং তাঁর স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের নামে ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকায় ৩০ কাঠার মতো জমি কিনেছিলেন। জমির প্রকৃত দাম ছিল ১১০ কোটি টাকা। যদিও তিনি দর দেখান মাত্র ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা। জমির দাম কম দেখিয়ে ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা মানি লন্ডারিং করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।