ভিসা নীতি বাংলাদেশের নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় মার্কিন সমর্থনের অংশ: পিটার হাস
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি বাংলাদেশের নির্বাচনপ্রক্রিয়ার প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থনের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে পিটার হাস এ মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাদের বৈঠক পূর্বনির্ধারিত, যা নিয়মিত বৈঠকের অংশ। আমাদের দুই দেশের চমৎকার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় সম্প্রতি ঘোষিত ভিসা নীতির প্রসঙ্গও এসেছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আজ সকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি এবং গতকাল আমাদের (যুক্তরাষ্ট্রের) বিবৃতিতে যা দেখেছেন, তা বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী— সবার জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। নতুন এই নীতির আওতায় বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বাংলাদেশিদের ভিসা না দেওয়ার কথা বলা হয়।
মার্কিন নতুন ভিসা নীতির পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অব্যাহত অঙ্গীকারের প্রতি জোরালো সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রশংসা করেছে সরকার।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সমুন্নত রাখার স্বার্থে দেশের সর্বস্তরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকার দ্ব্যর্থহীন অঙ্গীকারের বৃহত্তর প্রেক্ষাপট থেকে মার্কিন এ ঘোষণাকে বিবেচনায় নিতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল জাতি, যার কয়েক দফায় জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনের অভিজ্ঞতা রয়েছে।