কূটনীতিকদের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয় যুক্তরাষ্ট্র্র: মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র
যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের কূটনীতিক ও স্থাপনার নিরাপত্তার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল গতকাল সোমবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা আর দেওয়া হবে না বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এর কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তাঁদের বলেছি, অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের নানা কৃচ্ছ্রসাধন করতে হচ্ছে। তাই রাষ্ট্রদূতদের যে বাড়তি নিরাপত্তা–সুবিধা দেওয়া হয়, সেটি আর অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বেদান্ত প্যাটেলের কাছে এক সাংবাদিক জানতে চান, তিনি এ নিয়ে উদ্বিগ্ন কি না। জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, তিনি সুনির্দিষ্টভাবে মার্কিন দূতাবাস ও এর কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নিরাপত্তার উদ্বেগ নিয়ে কিছু বলতে চান না। তবে কূটনৈতিক সম্পর্কবিষয়ক ভিয়েনা সনদ অনুযায়ী প্রতিটি দেশের দায়িত্ব, অন্য দেশের দূতাবাস ও দূতাবাসের কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাঁদের ওপর সম্ভাব্য হামলা ঠেকাতে সব ধরনের যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া। মার্কিন কূটনীতিক ও স্থাপনার নিরাপত্তার বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে বলেও জানান প্যাটেল।
এর আগে গত শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসহকারী মন্ত্রী আফরিন আখতার বলেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না। বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ না নিলে তা কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চাওয়া হয় বেদান্ত প্যাটেলের কাছে। একই সঙ্গে জানতে চাওয়া হয়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন বাংলাদেশের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে কি না এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে নতুন কোনো পরিকল্পনা আছে কি না।
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, তাঁর কাছে এই মুহূর্তে ঘোষণা করার মতো নতুন কোনো নীতি নেই। ফলে নিধেষাজ্ঞার ব্যাপারে নতুন কোনো খবর তিনি দিতে পারছেন না।
গত বছর বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্যাপন করেছে উল্লেখ করে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, তাঁরা ভবিষ্যতে বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন দেখতে চান। যুক্তরাষ্ট্র আশা করে, বিশ্বের যেকোনো দেশেই নির্বাচন হোক না কেন, তা যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়।