ক্যানসার–প্রতিরোধী ‘সুপারবুস্ট’ উদ্ভাবনের দাবি স্টেট ইউনিভার্সিটির

বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত এক কর্মশালায় গবেষণার ফল তুলে ধরা হয়
ছবি: বিজ্ঞপ্তি

তিন বছর ধরে বিভিন্ন প্রজাতির ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে সংক্রামক রোগ ও ক্যানসার–প্রতিরোধী ‘সুপারবুস্ট’ নামক শক্তিশালী ইমিউনোবুস্টার নিউট্রাসিউটিক্যাল উদ্ভাবনের দাবি করছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ফার্মাসি বিভাগের একদল গবেষক।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘শিক্ষা খাতে উচ্চতর গবেষণাসহায়তা’ শীর্ষক প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায় এই গবেষণা পরিচালিত হয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, তাঁদের উদ্ভাবিত শক্তিশালী ইমিউনোবুস্টার ‘সুপারবুস্ট’ করোনাভাইরাসসহ যেকোনো ধরনের সংক্রামক রোগ ও ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করবে।

গবেষক দলের প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়টির ফার্মাসি বিভাগের অধ্যাপক মো. মোকলেছুর রহমান বলেন, ‘আমাদের উদ্ভাবিত সুপারবুস্ট রক্তের প্রধান ও দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি সাধারণ মাত্রার চেয়ে ১০ থেকে ১২ গুণ বাড়াতে পারে। এ ছাড়া অন্য আরেকটি স্বল্পমেয়াদি অ্যান্টিবডি এবং ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম শক্তিশালী ইমিউন কোষগুলো, ন্যাচারাল কিলার সেল, নিউট্রোফিল, মনোসাইট ও ম্যাক্রোফেজ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। এটি ইঁদুরের ওপর ব্যবহারে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া বা উল্লেখযোগ্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।’

গতকাল শনিবার ফার্মাসি বিভাগ আয়োজিত ‘ডেভেলপমেন্ট অব নভেল ইমিউনোবুস্টার: আ প্রসপেকটিভ নিউট্রাসিউটিক্যাল ফর্মুলেশন (সুপারবুস্ট) ফর দ্য প্রিভেনশন অব ইনফেকশনস অ্যান্ড ক্যানসার’ শীর্ষক কর্মশালায় গবেষণাটির ফল উপস্থাপন করেন মো. মোকলেছুর রহমান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি অনুষদের সাবেক ডিন মো. আবদুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও শিক্ষা খাতে উচ্চতর গবেষণাসহায়তা কর্মসূচির বাছাই ও মনিটরিং কমিটির সভাপতি মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) নওজিয়া ইয়াছমিন, ফার্মাসি বিভাগের প্রধান কোহিনুর বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের সভাপতি মো. শাহ আমরান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের অধ্যাপক মো. সোহেল রানা ও এই গবেষণা প্রকল্পের কো-ইনভেস্টিগেটর ড. সুকল্যাণ কুমার কুন্ডু।