হাটহাজারীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-হামলা, আহত ১০
চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার কলেজ গেট এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য শাকিলা ফারজানার অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন হাটহাজারী পৌর যুবদল নেতা আকরাম উদ্দিন, মো. রাশেল, মো. ওয়াসিম, মো. জসিম, মো. বাবলু, মো. শাকিল, মহরম আলী, মো. দুলাল, মো. সাইফুল ও স্থানীয় বিএনপি নেতা সাহাব উদ্দিন। তাঁরা সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, কনক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে শাকিলা ফারজানার অনুসারীরা জড়ো হয়েছে খবর পেয়ে মীর হেলালের অনুসারী বেশ কিছু নেতা-কর্মী সেখানে গিয়ে হামলা চালান। কমিউনিটি সেন্টারের পেছনে গিয়েও কয়েকজনকে মারধর করা হয়। ওই সময় শাকিলার অনুসারী কয়েকজন পাল্টা হামলার চেষ্টা করেন। এ সময় হাটহাজারী-রাঙামাটি সড়ক–সংলগ্ন কমিউনিটি সেন্টারটিতে হামলার ঘটনায় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য শাকিলা ফারজানা আজ প্রথম আলোকে বলেন, হাটহাজারী উপজেলা সদরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী নেতা-কর্মীরা একটি কমিউনিটি সেন্টারে জড়ো হন। সেখানে মীর হেলালের অনুসারীরা এসে অতর্কিত হামলা চালান। এতে ১০ থেকে ১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
শাকিলা ফারজানা অভিযোগ করেন, মীর হেলাল সুস্থ ধারার রাজনীতি করছেন না। নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা শুরু হলে পুলিশকে বলা হলেও পুলিশ তাঁদের নিবৃত্ত করেনি। নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি নগর ও উত্তর জেলার কর্মসূচি নিয়ে শহরে ব্যস্ত ছিলাম। হাটহাজারীতে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। কর্মসূচি সফল করতে নেতা-কর্মীরা আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই কর্মসূচির বিষয়ে। এখন কে বা কারা কী করেছে জানি না। আমার নেতা-কর্মীরা সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসূচি পালন করেছেন। কোনো বিশৃঙ্খলায় জড়িত হয়নি।’
জানতে চাইলে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাওসার দাবি করেন পুলিশ তাঁদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে। হামলার বিষয়ে তাঁরা কিছু জানেন না।