ঈদ সামনে রেখে ঢাকা-উত্তরবঙ্গের পথের (এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক) একটি রেলওয়ে ওভারপাসসহ আটটি উড়ালপথ ও দুটি সেতু যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার সকালে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনলাইনে উড়ালপথ ও সেতুর উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মেঘনা সেতুর একটি টোল প্লাজা উদ্বোধন করা হয়। এ সময় টোল প্লাজার সব লেনে ইটিসি (ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন) কার্যক্রমও চালু করা হয়। এর মাধ্যমে গাড়ি না থামিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল পরিশোধ করা সম্ভব হবে। উদ্বোধনের সময় মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এগুলো দেশবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঈদ উপহার। এবারের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হওয়ার আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী আরও বলেন, বগুড়ার তিনমাথা রেলগেটে ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি রেলওয়ে ওভারপাস, দুটি সেতু (সিরাজগঞ্জে ৫৬ মিটার দৈর্ঘ্যের দাতিয়া সেতু ও ৩২ মিটার দৈর্ঘ্যের ফটকি সেতু) এবং সিরাজগঞ্জে ৩৯ মিটার দৈর্ঘ্যের মুলিবাড়ি ওভারপাস চালু হলো। এর বাইরে সিরাজগঞ্জে ৩৯ মিটার দৈর্ঘ্যের পাঁচিলা ওভারপাস ও ৩৫ মিটার দৈর্ঘ্যের দাতপুর ওভারপাস, বগুড়ায় ১৫৮ মিটার দৈর্ঘ্যের বি-ব্লক ক্যান্টনমেন্ট ওভারপাস ও ১৭৮ মিটার দৈর্ঘ্যের ফুলতলা ওভারপাস, রংপুরে ৩০ মিটার দৈর্ঘ্যের ধাপেরহাট ওভারপাস এবং ৮ মিটার দৈর্ঘ্যের মির্জাপুর ওভারপাস যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হলো।
উল্লেখ্য, ১৯ হাজার ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯০ দশমিক ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়কটি সাউথ এশিয়ান সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক) করিডর, এশিয়ান হাইওয়ে-২, বিমসটেক-২ এবং সার্ক হাইওয়ে করিডর-৪-এর উল্লেখযোগ্য অংশ ছয় লেনে উন্নীত করার কাজ চলমান আছে। বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ধীরগতিসম্পন্ন যানবাহনের জন্য পৃথক লেনের সংস্থানসহ মহাসড়কটিকে ছয় লেনে উন্নীত করা হচ্ছে।