চট্টগ্রামের পাঁচ জেটি থেকে ইস্পাতের কাঁচামাল পরিবহন বন্ধ

চট্টগ্রামের হালিশহরের বড়পোল এলাকায় চলন্ত ডাম্প ট্রাক থেকে ইস্পাতের কাঁচামাল পুরোনো লোহার টুকরো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি তোলা একটি ভিডিও থেকে নেওয়া।

ইস্পাতের কাঁচামাল পরিবহনকারী ডাম্প ট্রাকের চালকদের ধর্মঘটে চট্টগ্রামের সদরঘাটের পাঁচটি জেটি থেকে পণ্য পরিবহনে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। আজ রোববার ভোরে সদরঘাট এলাকায় দুবৃর্ত্তরা ছিনতাইয়ের সময় এক চালককে ছুরিকাঘাত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন চালকেরা।

বিদেশ থেকে আমদানি করা ইস্পাতের কাঁচামাল পুরোনো লোহার টুকরা খালাস হয় বন্দরের মূল জেটি এবং সদরঘাটের পাঁচটি জেটি দিয়ে। বিএসআরএম, আবুল খায়ের, জিপিএইচ ও কেএসআরএম—এই চারটি বড় শিল্প গ্রুপের কাঁচামাল নিয়মিত এসব জেটি দিয়ে খালাস হয়। জাহাজ থেকে খালাস করে ডাম্প ট্রাকে করে কারখানায় নেওয়া হয়। খোলা ট্রাকে নেওয়ার সময় মূলত ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীরা গাড়িতে উঠে লোহার টুকরা রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর তা কুড়িয়ে নিয়ে বিক্রি করে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ডাম্প ট্রাকের চালক ইমাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আজ ভোরে সদরঘাট এলাকায় একটি ট্রাক কাঁচামাল পরিবহনের জন্য অপেক্ষায় ছিল। এ সময় ছিনতাইকারীরা ট্রাকটির অতিরিক্ত চাকা ছিনতাই করছিল। চালক বাধা দেওয়ায় তাঁকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারী। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ডাম্প ট্রাকে ইস্পাতের কাঁচামাল পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ইমাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে আমরা ধর্মঘট শুরু করেছি। মোট আট দফা দাবি রয়েছে আমাদের। দাবি মানা না পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।’

চালকেরা জানান, চট্টগ্রাম বন্দর ও সদরঘাট থেকে ডাম্প ট্রাকে করে ইস্পাতের কাঁচামাল কারখানায় নেওয়ার সময় প্রায়ই ছিনতাই–ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। শনিবার চট্টগ্রাম বন্দরের সিপিআর ফটক দিয়ে বের হওয়ার পরপরই ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে জিপিএইচের কাঁচামালবাহী একটি ডাম্প ট্রাক। এ সময় ১০–১২ জন দুবৃত্ত চাঁদার দাবিতে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে গাড়িটি আটকে রাখে। পরে জিপিএইচ ইস্পাত কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দেয়। একপর্যায়ে তারা হুমকি দিয়ে চলে যায়।

জানতে চাইলে জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের উপদেষ্টা কর্নেল (অব.) শওকত ওসমান প্রথম আলোকে বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। শিল্পকারখানার কাঁচামাল পরিবহন যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।