বিমানবন্দরে ৫৫ কেজি সোনা চুরি: আটজনের রিমান্ড, এক কেজি সোনা উদ্ধার
রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের শুল্ক বিভাগের গুদামে থাকা লকার থেকে সোনা চুরির মামলায় আটজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া এক কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান আসামিদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক মোজাফফর আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ৫৫ কেজি সোনা চুরির মামলায় গ্রেপ্তার শুল্ক বিভাগের চারজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তাসহ আটজনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত আসামিদের প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার রাজস্ব কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ও সাইদুল ইসলামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিমানবন্দরের আগমনী টার্মিনালের ভেতরে কাস্টমসের গুদামের লকার থেকে ১ কেজি ৯৬ গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি সোনা উদ্ধারের জন্য আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। আদালতে আসামিদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন ডিবির পরিদর্শক রাশেদুল ইসলাম।
এর আগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া আটজনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানায় পুলিশ। তাঁরা হলেন বিমানবন্দরের ভেতরের ওই গুদামের দায়িত্ব পালনকারী চারজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মাসুদ রানা, সাইফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম, আকতার শেখ এবং চার সিপাহি রেজাউল করিম, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন ও নিয়ামত হাওলাদার।
সোনা চুরির ঘটনায় ৩ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা শুল্ক বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন।