‘প্রত্যয়’ চাপিয়ে দিয়ে শিক্ষার মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচি বাতিল ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বুধবার তৃতীয় দিনের মতো কর্মসূচি পালন করেনছবি: আশিকুজ্জামান

সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচি চাপিয়ে দিয়ে শিক্ষাব্যবস্থার মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রত্যয় বাতিলের দাবিতে চলমান সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচিতে তাঁরা এ অভিযোগ করেন।

পেনশনের প্রত্যয় কর্মসূচি বাতিল ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বুধবার তৃতীয় দিনের মতো কর্মসূচি পালন করেন। দুপুরে ভাষাশহীদ রফিক ভবনের সামনে এক অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন তাঁরা।

অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক শামীমা বেগম বলেন, শুধু মুখেই বলা হয়—শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু বাস্তবে সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থার মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলা হচ্ছে। নতুন সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রহসন হচ্ছে।

এই অধ্যাপকের শঙ্কা, এভাবে শিক্ষাব্যবস্থার অবমূল্যায়ন হলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিদেশে চলে যেতে পারেন। এতে নতুন প্রজন্ম ভারসাম্যহীন হয়ে পড়তে পারে। এ ছাড়া মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশাতেও আসতে চাইবেন না।

বুধবার একই দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও কর্মবিরতি পালন করছেন। প্রত্যয় বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে তা প্রত্যাহারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের সামনে তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।