নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের সময় যশোর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুজনের মৃত্যুতে তীব্র ক্ষোভ, উৎকণ্ঠা ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।
গতকাল রোববার এমএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়, যশোর সদর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানকালে নির্যাতনে ৩ ডিসেম্বর যুবদল নেতা আতিক হাসান সরদার (৩৯) ও ৬ ডিসেম্বর দুবাইপ্রবাসী হযরত আলী (২৭) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। উভয় পরিবারের দাবি, তাঁদের গাছের সঙ্গে বেঁধে ও ঝুলিয়ে অমানুষিকভাবে পিটিয়ে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়।
এমএসএফ ঘটনা দুটির নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে অভিযানকালে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানায়। এমএসএফ জানায়, যশোর সেনা ক্যাম্পের কর্মকর্তারা নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করলেও বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী বলেছেন, সেনাসদস্যের উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও ডাকাতি হওয়া জিনিসপত্রের জব্দ তালিকা করা ছাড়া ঘটনার সঙ্গে পুলিশের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
এমএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযানকালে যৌথ বাহিনীর বিরুদ্ধে আনীত নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগের বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত, যা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। যেকোনো ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর আইনি দায়িত্ব। ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনে মৃত্যুর ক্ষেত্রে বাহিনীর জবাবদিহি নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের মানবাধিকার ও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা।
এমএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়, আতিক হাসান সরদার ও হযরত আলীর মৃত্যু যেভাবেই হোক না কেন, নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে অনতিবিলম্বে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।