ন্যাম সম্মেলনে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বিশ্বশান্তির আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও সব বৈশ্বিক বিরোধ শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির আহ্বান জানিয়েছেন।
উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন স্থানীয় সময় শনিবার সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি ১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া বক্তৃতার বিষয় নিয়েও কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকারের উত্তরাধিকার সাহসিকতার সঙ্গেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর কন্যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
হাছান মাহমুদ ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অটুট সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। ফিলিস্তিনিদের জন্য ন্যায়বিচার দাবি করেন তিনি। বিশ্ব সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো ও তাঁদের সমর্থনে সব পদক্ষেপ গ্রহণে আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্বিগুণ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান। একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ, ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়তে গঠনমূলক ও শান্তিপূর্ণ সংলাপের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন তিনি।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার কাম্পালায় ন্যাম শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলন উদ্বোধন করেন ন্যামের নতুন চেয়ারম্যান উগান্ডার প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনি। দুই দিনের আলোচনা শেষে ‘কাম্পালা ঘোষণা’র পাশাপাশি ফিলিস্তিন বিষয়ে একটি ঘোষণা গৃহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক
ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সুয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও দ্বিপক্ষীয় গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা করেন তাঁরা।
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে এবারের সম্মেলন ও বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন।