দুই ইউপি চেয়ারম্যানের উপজেলা নির্বাচন করা আটকে গেল
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে থেকেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিলে তা বাতিল হয়। পরে সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে তাঁদের প্রতীক বরাদ্দ দিতে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের পৃথক আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন।
আজ সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও এক প্রার্থীর করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়।
ফলে তাঁদের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়া আটকে গেল বলে জানিয়েছেন ইসির আইনজীবী আশফাকুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, তবে তাঁদের ইউপি চেয়ারম্যানের পদ বহাল থাকছে। ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁরা দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারবেন।
দুজনের মধ্যে মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। আর মো. ওহিদুল ইসলাম কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যন। তিনি খোকসা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তবে ইউপি চেয়ারম্যানের পদে থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। পরে তাঁরা ইসিতে আপিল করেন। তা নামঞ্জুর করে আপিল কর্তৃপক্ষ মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন। মনোনয়নপত্র বাতিলের পৃথক সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে ওই দুই জনপ্রতিনিধি পৃথক রিট করেন।
পৃথক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৩ এপ্রিল হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। ওই দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আপিল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তাঁদের আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ফলে ইউপি চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ না করে তাঁদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খোলে।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ইসি আপিল বিভাগে পৃথক আবেদন করে। অন্যদিকে খোকসা উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া এক প্রার্থী হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে একটি আবেদন করেন। পৃথক আবেদনের ওপর আজ শুনানি হয়।
আদালতে ইসির পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন ইসির আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ ও আশফাকুর রহমান। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহদীন মালিক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এম মনজুর আলম। অপর প্রার্থীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।