ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে তথ্যানুন্ধান কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেট। এ ছাড়া ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশে একই বিভাগের একদল শিক্ষার্থীর ফলাফলে ধস নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তদন্তে আরেকটি কমিটি করা হয়েছে।
আজ রোববার সিন্ডিকেটের নিয়মিত সভায় পৃথক ওই কমিটি করা হয়। গত মাসে সাংবাদিকতার ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ফলাফলে ধস নামানোর অভিযোগ করেন স্নাতকোত্তরের ২৮ শিক্ষার্থী। এর পরপরই তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন বিভাগেরই এক ছাত্রী। এ প্রেক্ষাপটে ক্লাস বর্জনসহ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ওই অধ্যাপককে তিন মাসের ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরই মধ্যে গত মাসের শেষ সপ্তাহে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক ছাত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) ও সিন্ডিকেট সদস্য সীতেশ চন্দ্র বাছার প্রথম আলোকে বলেন, সাংবাদিকতা বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তে একটি তথ্যানুসন্ধান কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিন্ডিকেট সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, আইন অনুষদের ডিন সীমা জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তথ্যানুসন্ধান কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন সিন্ডিকেট সদস্য মাসুদুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ। কমিটির প্রতিবেদন এলে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলে পাঠানো হবে।
ওই সিন্ডিকেট সদস্য আরও বলেন, ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে ফলাফলে ধস নামানোর অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের আরেকটি কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটির প্রধান সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) সীতেশ চন্দ্র বাছার। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন সিন্ডিকেট সদস্য আবুল মনসুর আহাম্মদ ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী।