বকেয়া পরিশোধে এডিবির সহায়তা চাইলেন জ্বালানি উপদেষ্টা
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের আমদানি বিলের বকেয়া পরিশোধে বিশ্বব্যাংকের পর এবার এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সহায়তা চাইলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এডিবির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে সহায়তার অনুরোধ করেন তিনি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত এডিবির আবাসিক পরিচালক এডিমন গিন্টিংয়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল ফাওজুল কবির খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় জ্বালানি উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর খুব দ্রুত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সরকার এখন থেকে শুধু পরিসংখ্যানে বিশ্বাস না করে সত্যিকারের বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
এখন থেকে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্মুক্ত পদ্ধতির মাধ্যমে দরপত্রের নির্দেশনা দিয়েছেন জ্বালানি উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সব ধরনের ক্রয় প্রক্রিয়ায় পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধান ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ (সংশোধিত ২০২১)-এর অধীনে চলমান কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধিত) আইন, ২০২৩-এর ৩৪ ক ধারায় সরকার কর্তৃক বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য নির্ধারণের ক্ষমতা স্থগিত করেছে।
নতুন দায়িত্বের জন্য উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে অভিনন্দন জানিয়ে এডিমন গিন্টিং বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে তারা সরকারের বড় অংশীদার। তিনি বর্তমান সরকারের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বর্তমান সরকারের বাজেট সহায়তার অনুরোধ আন্তরিকতার সঙ্গে বিবেচনার আশ্বাস দেন।
মতবিনিময় সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. এহছানুল হক, বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. হাবিবুর রহমান, সেতু বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মনজুর হোসেন, রেলপথ মন্ত্রণালয় সচিব আবদুল বাকী এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গতকাল বুধবার বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বকেয়া বিল পরিশোধে ১০০ কোটি ডলারের সহায়তা চান জ্বালানি উপদেষ্টা।