বেনজীরের পাসপোর্ট ‘জালিয়াতি’ নিয়ে ৮ কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদছবি: বেনজীরের ফেসবুক থেকে নেওয়া

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে ইস্যু হওয়া পাঁচটি পাসপোর্টের বিষয়ে তথ্য জানতে সংস্থাটির আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

দুদক সূত্র জানায়, বেনজীর আহমেদ ও তাঁর স্ত্রী জিশান মীর্জা এবং তাঁদের দুই মেয়ের নামে পাঁচটি পাসপোর্ট রয়েছে। তাঁদের নামে ইস্যু হওয়া পাসপোর্টের আবেদন থেকে শুরু করে বিতরণ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট পরিচালক, উপপরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

বেনজীর আহমেদ ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইজিপি ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও র‍্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের অনুসন্ধানে এখন পর্যন্ত বেনজীর ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের নামে ঢাকায় মোট ১২টি ফ্ল্যাট, বিভিন্ন জেলায় ৬৯৭ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও তিনটি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) পাওয়া গেছে। এসব সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের ওই আদেশ আসার আগেই গত ৪ মে বেনজীর আহমেদ দেশ ছাড়েন।

বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য প্রকাশের মধ্যেই মিথ্যা তথ্য দিয়ে তাঁর পাসপোর্ট করার খবর প্রকাশিত হয়েছে। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বেনজীর আহমেদ পুলিশ বাহিনীর বড় পদে থেকেও পাসপোর্ট নিয়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবী হিসেবে, যা সরকারি চাকরিবিধি ও পাসপোর্ট আইনে অপরাধ।