চাঁদা চেয়ে হুমকি, গ্রেপ্তারের দাবিতে দোকানিদের মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানীহাটে অন্তত ৩০ জন দোকানিকে চাঁদার জন্য মুঠোফোনে হুমকি দেওয়া ব্যক্তিরা দেড় মাসেও গ্রেপ্তার হয়নি। হুমকিদাতারা গ্রেপ্তার না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে শঙ্কা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে এ ঘটনায় আগামী ৫ ডিসেম্বর সাতকানিয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছেন তাঁরা। আজ বুধবার কেরানীহাট প্রগতিশীল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান কেরানীহাট প্রগতিশীল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনজুর আলম। বক্তারা বলেন, অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত কেরানীহাটের অন্তত ৩০ জন দোকানিকে তিনটি মুঠোফোন নম্বর থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা চাঁদার জন্য হুমকি দিয়েছেন। প্রত্যেকের কাছে ২০ হাজার টাকা করে চাঁদা চাওয়া হয়েছে। চাঁদা না দেওয়ায় দুটি দোকানে আগুন দেওয়া হয়। আতঙ্কিত দোকানিদের রাত জেগে দোকান পাহারা দিতে হচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারছে না।
ব্যবসায়ীরা নেতারা বলেন, চাঁদা দাবির ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি ও একটি মামলা হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে ১৩টি। এরপরও হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারার মধ্য দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে। এমন অবস্থায় আগামী ৫ ডিসেম্বর কেরানীহাটের তিন হাজারের অধিক দোকান বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীরা মহাসড়ক অবরোধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে রেজাউল করিম নামের একজন মুদিদোকানি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার রাতেও বাদশা পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি তাঁর কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। চাঁদা না দিলে তাঁকে হত্যা এবং দোকানে আগুন দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় ব্যবসায়ী সমিতির অর্থ সম্পাদক ওয়াহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, পরিচালক মো. কামাল হোসেনসহ ক্ষতিগ্রস্ত দোকানিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান প্রথম আলোকে বলেন, যাঁরা মুঠোফোনের মাধ্যমে চাঁদা দাবি ও হুমকি দিয়েছেন তাঁরা খুব চালাক প্রকৃতির লোক। অন্যের নামে নিবন্ধন করা মুঠোফোন নম্বর থেকে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যেই তাঁদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।