নির্বাচন করার আগে গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা করা উচিত: খাদিজাতুল আনোয়ার

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার জয়ী হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য রফিকুল আনোয়ারের মেয়ে। ফটিকছড়ি আসনটিতে কিংস পার্টি নামে পরিচিতি পাওয়া বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদ মাইজভান্ডারীকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন ছিল। তাঁকে জেতানোর জন্য একটি মহল কাজ করছে বলেও আলোচনা ছিল। নির্বাচনে জিতে আসা এবং সামগ্রিক বিষয় নিয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন খাদিজাতুল আনোয়ার।

প্রথম আলো:

আপনার আসনটি নিয়ে আলোচনা ছিল। এমনও আলোচনা ছিল যে আপনাকে ভোট থেকে সরে যেতে বলেছে বা চাপ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি ঘুরে গেল কীভাবে?

খাদিজাতুল আনোয়ার: আমিও আলোচনা শুনেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। সরে যেতে বললে তিনিই আমাকে সরাসরি বলতেন। আমার কাছে তেমন কোনো নির্দেশনা আসেনি।

প্রথম আলো:

আপনার আসনে গত দুটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তার শরিক দলকে ছেড়ে দিয়েছিল। এবারও আলোচনা ছিল যে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিকে (বিএসপি) আসনটি ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এ জন্য কিছু তৎপরতার খবরও শোনা গিয়েছিল। আপনি কোনো চাপ অনুভব করেছিলেন?

খাদিজাতুল আনোয়ার: চাপ অনুভব করার কিছু নেই। আর কে কী তৎপরতা করলেন, তা আমার জানা নেই। গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রচারণা শুরু করে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চালিয়ে গিয়েছি। নির্বাচনে নানা গুজব, গুঞ্জন থাকবেই। কিন্তু নেতা–কর্মীরা উৎসবমুখরভাবেই নির্বাচন করেছেন।

প্রথম আলো:

আপনার আসনে আপনি আলোচিত প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। ভোটের এত ফারাককে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?

খাদিজাতুল আনোয়ার: ওনারাই ভালো বলতে পারবেন কেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেননি। নির্বাচন করতে গেলে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে কি না, সেটা বুঝে নির্বাচনে আসা উচিত। তিন মাস আগে তারা দল গঠন করেছে। নির্বাচনে যে কেউই আসতে পারেন। কিন্তু গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা করা উচিত। আমার বাবাও এখানে সংসদ সদস্য ছিলেন। বাবা মারা গেছেন ২০১২ সালে। কিন্তু মানুষ এখনো আমার বাবাকে ভালোবাসে। বাবার প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা, সেটাও আমার পক্ষে কাজ করেছে।

প্রথম আলো:

নির্বাচিত হিসেবে প্রথমবার সংসদে যাচ্ছেন, কাজের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়কে প্রাধান্য দেবেন?

খাদিজাতুল আনোয়ার: ফটিকছড়িতে অনেক কাজই করতে হবে। গত ১০ বছর এখানে দলীয় কোনো সংসদ সদস্য ছিলেন না। অন্যান্য জায়গার চেয়ে এই এলাকা এখনো অনুন্নত। জনসাধারণের চাহিদা বুঝে কাজ করতে হবে।

প্রথম আলো:

এবারের নির্বাচনে শেষ এক ঘণ্টায় ভোটের হার হঠাৎ বেড়ে যায়। আপনার ওখানে কি এমনটা হয়েছে?

খাদিজাতুল আনোয়ার: এটা আমি জানি না।

আরও পড়ুন