আপনার আসনটি নিয়ে আলোচনা ছিল। এমনও আলোচনা ছিল যে আপনাকে ভোট থেকে সরে যেতে বলেছে বা চাপ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি ঘুরে গেল কীভাবে?
খাদিজাতুল আনোয়ার: আমিও আলোচনা শুনেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। সরে যেতে বললে তিনিই আমাকে সরাসরি বলতেন। আমার কাছে তেমন কোনো নির্দেশনা আসেনি।
আপনার আসনে গত দুটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তার শরিক দলকে ছেড়ে দিয়েছিল। এবারও আলোচনা ছিল যে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিকে (বিএসপি) আসনটি ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এ জন্য কিছু তৎপরতার খবরও শোনা গিয়েছিল। আপনি কোনো চাপ অনুভব করেছিলেন?
খাদিজাতুল আনোয়ার: চাপ অনুভব করার কিছু নেই। আর কে কী তৎপরতা করলেন, তা আমার জানা নেই। গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রচারণা শুরু করে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চালিয়ে গিয়েছি। নির্বাচনে নানা গুজব, গুঞ্জন থাকবেই। কিন্তু নেতা–কর্মীরা উৎসবমুখরভাবেই নির্বাচন করেছেন।
আপনার আসনে আপনি আলোচিত প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন। ভোটের এত ফারাককে কীভাবে ব্যাখ্যা করবেন?
খাদিজাতুল আনোয়ার: ওনারাই ভালো বলতে পারবেন কেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেননি। নির্বাচন করতে গেলে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আছে কি না, সেটা বুঝে নির্বাচনে আসা উচিত। তিন মাস আগে তারা দল গঠন করেছে। নির্বাচনে যে কেউই আসতে পারেন। কিন্তু গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনা করা উচিত। আমার বাবাও এখানে সংসদ সদস্য ছিলেন। বাবা মারা গেছেন ২০১২ সালে। কিন্তু মানুষ এখনো আমার বাবাকে ভালোবাসে। বাবার প্রতি মানুষের যে ভালোবাসা, সেটাও আমার পক্ষে কাজ করেছে।
নির্বাচিত হিসেবে প্রথমবার সংসদে যাচ্ছেন, কাজের ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়কে প্রাধান্য দেবেন?
খাদিজাতুল আনোয়ার: ফটিকছড়িতে অনেক কাজই করতে হবে। গত ১০ বছর এখানে দলীয় কোনো সংসদ সদস্য ছিলেন না। অন্যান্য জায়গার চেয়ে এই এলাকা এখনো অনুন্নত। জনসাধারণের চাহিদা বুঝে কাজ করতে হবে।
এবারের নির্বাচনে শেষ এক ঘণ্টায় ভোটের হার হঠাৎ বেড়ে যায়। আপনার ওখানে কি এমনটা হয়েছে?
খাদিজাতুল আনোয়ার: এটা আমি জানি না।