‘চালকদের জীবনমান উন্নত না হলে যাত্রী-পথচারীদের প্রতি মায়া হবে না’

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে সহায়তা কার্যক্রমের আয়োজন করে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন।

নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, চালকদের জীবনমান যতক্ষণ না উন্নত হবে, তাঁদের জীবনের প্রতি যতক্ষণ মায়া না হবে ততক্ষণ যাত্রী ও পথচারীর প্রতি তাঁদের মায়া হবে না।

৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ শুক্রবার দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে নিসচা সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে সহায়তা কার্যক্রমের আয়োজন করেছে। সেখানে সভাপতির বক্তব্যে পরিবহন নেতা ও মালিকদের মন-মানসিকতা পরিবর্তন করা এবং চালকদের জীবনমানের উন্নয়ন করতে আহ্বান জানিয়েছেন ইলিয়াস কাঞ্চন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন বলেন, দেশে পুরোনো গাড়ি বেশি চলে। এগুলো কার্বন নিঃসরণ বেশি করে। ফলে ঢাকা শহরের আকাশ-বাতাস দূষিত হয়ে গেছে।

সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আখতার হোসেন বলেন, সেখানে গাড়িগুলো হয় হাইব্রিড, নয়তো বৈদ্যুতিক করা হয়েছে। বায়ুদূষণ কমানোর জন্য তারা এটা করেছে। গাড়িগুলো সচল রাখার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

এসব কারণে কিছুদিন আগে খারাপ অবস্থায় থাকলেও এখন সিউলের বাতাস অনেক পরিষ্কার বলে মন্তব্য করেন আখতার হোসেন। দেশেও এ বিষয়ে সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

দেশের রাস্তা ও গাড়ি কোনোটাই ঠিক নেই বলে মনে করেন বাংলাদেশ স্কাউটের কোষাধ্যক্ষ সাবেক জ্যেষ্ঠ সচিব মো. শাহ কামাল। তিনি বলেন, ‘দেশে যত ধরনের যানবাহন আছে, পৃথিবীর বহু দেশেই এত ধরনের যানবাহন নাই। এখন ভাবতে হবে—কোনটা রাখব, কোনটা বাদ দেব। পৃথিবীর অনেক শহর আছে, যেখানে পায়ে হাঁটা ছাড়া উপায় নাই। শুধু মেট্রোরেল ও বাসে চড়বেন, এর বাইরে কিছু নাই।’

আইন বাস্তবায়নে জিরো টলারেন্স হতে গেলে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা হয় বলে মন্তব্য করেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) মো. সাজ্জাদুর রহমান।

নিসচার সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন সংগঠনটির ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জুলী কাজী, বেলায়েত হোসেন খান প্রমুখ।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত স্বপন পাল ও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জায়েদা বেগমের মেয়ে সালমা আক্তারকে একটি করে ছাগি দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে বছরজুড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত প্রায় ৩০০ পরিবারকে ছাগি দেওয়ার কার্যক্রমের উদ্বোধন করে নিসচা।