প্রতিকার পেতে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে
বিগত ১৫ বছরে চাকরিতে নানাভাবে বঞ্চনার শিকার কর্মকর্তাদের প্রতিকারের উদ্যোগ নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে কমিটি গঠনের পর এবার বঞ্চিত কর্মকর্তাদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। যাঁরা নিজেকে বঞ্চিত মনে করে প্রতিকার আশা করেন, তাঁদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতায় ২০০৯ সাল থেকে গত ৪ আগস্ট পর্যন্ত চাকরিতে বঞ্চনার শিকার এবং এই সময়ের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেওয়ার জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ওই সময়ে অবসরে যাওয়া যেসব কর্মকর্তা নিজেকে বঞ্চিত মনে করেন এবং প্রতিকার আশা করেন, তাঁদের প্রত্যেকের বঞ্চনার ধরন ও কারণ উল্লেখ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের বরাবর (নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ বা এপিডি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণসহ) আবদন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে যাঁরা ইতিমধ্যে জ্যেষ্ঠ×সচিবের কাছে আবেদন করেছেন তাঁদের নতুন করে আবেদনের প্রয়োজন নেই। বিজ্ঞপ্তির সঙ্গে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার জন্য একটি ছকও দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর বিগত ১৫ বছরে চাকরিতে নানাভাবে বঞ্চনার শিকার কর্মকর্তাদের প্রতিকারের বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করে সরকার। সাবেক অর্থসচিব ও বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক জাকির আহমেদ খানকে পাঁচ সদস্যের এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়। কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ এবং আইন ও বিচার বিভাগের একজন করে প্রতিনিধি রাখা হয়েছে।
এই কমিটি প্রতিকারের বিষয়ে সুপারিশ পর্যায়ক্রমে বা একসঙ্গে জমা দিতে পারবে। তবে আদালতের সুস্পষ্ট আদেশ রয়েছে, এমন বিষয়গুলো এই কমিটির আওতার বাইরে থাকবে। কমিটি অনধিক তিন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন সরকারের কাছে জমা দেবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জনপ্রশাসন, পুলিশ, শিক্ষা ক্যাডারসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পদগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে। একই সঙ্গে পদোন্নতি ও নতুন করে নিয়োগও দেওয়া হচ্ছে।