পাহাড়ের একাংশ ধসে পড়ল গাড়ির ওপর

টাইগারপাস এলাকায় চলন্ত মাইক্রোবাসের ওপর পাহাড়ের একাংশ ধসে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস সেই মাইক্রোবাস উদ্ধার করছে। চট্টগ্রাম, ৪ আগস্ট
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের দেওয়ানহাট থেকে একটি মাইক্রোবাস যাচ্ছিল কালুরঘাট এলাকার দিকে। টাইগারপাস আসতেই পাহাড়ের একাংশ ধসে পড়ে সেই চলন্ত গাড়ির ওপর। গাছগাছালি ভেঙে চলে আসে রাস্তায়। কেউ হতাহত না হলেও যান চলাচল বন্ধ ছিল কয়েক ঘণ্টা।

আজ শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে বেলা ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সড়ক যান চলাচলের উপযোগী করে। এরপর যান চলাচল শুরু হয়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, ছুটির দিন ও বৃষ্টির কারণে সড়কে যানবাহন কম ছিল। সকালে পাহাড়ের একটি অংশ ধসে গাড়ির ওপর পড়ে। চালক ছিটকে বাইরে পড়ে যান। তবে কোনো ক্ষতি হয়নি।

মো. আবদুর রাজ্জাক বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সড়কের মাটি সরানো ও গাড়িটি উদ্ধারের কাজে নামেন। দুই ঘণ্টার চেষ্টায় বেলা ১১টার দিকে সড়ক পরিষ্কার করে দিলে যান চলাচল শুরু হয়।

টাইগারপাস এলাকায় চলন্ত মাইক্রোবাসের ওপর পাহাড়ের একাংশ ধসে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। সড়ক যান চলাচলের উপযোগী করছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।চট্টগ্রাম, ৪ আগস্ট
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। চট্টগ্রাম আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল বলেন, এটি মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টি। আরও অন্তত দুই দিন এমন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

চট্টগ্রামে মাঝারি কিংবা ভারী বৃষ্টি হলেই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এর আগে ২০০৭ সালে পাহাড় ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল। পরের বছর (২০০৮) মারা গেছেন ১৪ জন। এর পর থেকে ২০০৯ সাল বাদ দিয়ে প্রতিবছরই পাহাড়ধসে চট্টগ্রামে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। ২০১১ সালে মারা গেছেন ১৭ জন আর ২০১২ সালে ২৮ জন। ২০১৫ সালে মারা গেছেন ৬ জন।