পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি
বর্তমান বাজারে পাঁচ বছর আগে নির্ধারিত মজুরিতে জীবনধারণ সম্ভব না। এ জন্য ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা মজুরি দাবি করেছেন পোশাকশ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনে ‘মজুরি প্রশ্ন ও গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলন’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানানো হয়। মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলন এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বক্তারা বলেন, গত কয়েক বছরে জিনিসপত্রের দাম, বাড়িভাড়া কয়েক গুণ বেড়েছে। এ অবস্থায় বিদ্যমান ন্যূনতম মজুরি (আট হাজার টাকা) দিয়ে পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের পক্ষে কোনোভাবে জীবন ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। মজুরি বৃদ্ধি না করলে শ্রমিকদের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ চলমান নিয়মতান্ত্রিক বিক্ষোভে সীমাবদ্ধ থাকবে না।
মজুরি বৃদ্ধিতে গার্মেন্ট শ্রমিক আন্দোলন বেশ কিছু দাবি জানায়। দাবিগুলো হলো ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করা, ন্যূনতম ৬০ শতাংশ মূল বেতন ধরে মজুরি নির্ধারণ, নতুন মজুরি ঘোষণার আগে মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান, ইপিজেড ও ইপিজেডের বাইরে সমান হারে মূল মজুরির ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট, স্থায়ীভাবে রেশনিং ব্যবস্থা চালু, বাজার নিয়ন্ত্রণ, শ্রমিক ছাঁটাই, মিথ্যা মামলা-হামলা ও নির্যাতন বন্ধ করা।
মতবিনিময় সভায় লিখিত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার। এ ছাড়া গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি মন্টু ঘোষের সভাপতিত্বে ও গার্মেন্ট শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের (সবুজ) সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।