'দালাল'দের নিয়ে ডিপিডিসির গণশুনানি

‘নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ, উৎফুল্ল গ্রাহক’, এ স্লোগান নিয়ে ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ডিপিডিসি) গতকাল সোমবার ডেমরা, সিদ্ধিরগঞ্জ, কাজলা, মানিকনগর, নারায়ণগঞ্জ (পূর্ব) ও নারায়ণগঞ্জ (পশ্চিম) অঞ্চলের গ্রাহক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে গণশুনানির আয়োজন করে।
নগরের কিল্লারপুলের বিদ্যুৎ কার্যালয় প্রাঙ্গণে গতকাল সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এ শুনানি হয়। শুনানিতে উপস্থিত একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনুষ্ঠানে বেশির ভাগই ছিলেন ডিপিডিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অনুগত লোকজন। বিভিন্ন অঞ্চলের কর্মকর্তারা তাঁদের অনুগত লোকদের নিয়ে আসেন। তাঁদের অনেকেই বিদ্যুৎ কার্যালয়ে ‘দালাল’ হিসেবে পরিচিত। সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আনোয়ার হোসেন, মোবাশ্বের, রমিজউদ্দিন ও ফিরোজুর রহমান শুধু প্রশংসা করে ও ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন। নারায়ণগঞ্জ পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের ইরফান উদ্দিন, সুফিয়ানও শুধু ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডিপিডিসির চেয়ারম্যান তাপস কুমার রায়। উপস্থিত ছিলেন ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) নজরুল হাসান, প্রধান প্রকৌশলী ইকরামুল হক, নির্বাহী প্রকৌশলী এ টি এম হারুন-অর-রশীদ প্রমুখ। গণশুনানি চলাকালে কয়েকজন গ্রাহকের বিদ্যুৎ-সংযোগ ও মিটারের আবেদন তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়। আজ বুধবার একই স্থানে ফতুল্লা ও শ্যামপুর এলাকার গ্রাহকদের নিয়ে গণশুনানি হবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, বিদ্যুতের খুঁটি ও তারের এমন অবস্থা, যা দেখলে লজ্জায় পড়ে যাবেন।
নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আশরাফ বলেন, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার গ্যারেজে কীভাবে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়। ফুটপাতে শত শত সংযোগ কীভাবে দেওয়া হয়েছে।
ডিপিডিসির চেয়ারম্যান তাপস কুমার রায় বলেন, ‘ডিপিডিসির মূল উদ্দেশ্য গ্রাহকদের হাসি ফোটানো। সে চেষ্টা করে যাচ্ছি। মিটার রিডারদের দ্বারা ভোগান্তি কমাতে স্ন্যাপশট রিডিং চালু করতে যাচ্ছি।’