হাতিয়ায় আ.লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১০
নোয়াখালীর হাতিয়ার ওছখালীতে গতকাল সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই পক্ষে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের একজন পরিদর্শক, দুই উপপরিদর্শক (এসআই) ও দুই কনস্টেবলসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের ১৬টি ফাঁকা গুলি এবং কাঁদানে গ্যাসের দুটি শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ইউছুফ নবী ও আবুল রাসেল নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার জের ধরে উপজেলা সদরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক সাংসদ মোহামঞ্চদ আলীর সমর্থকেরা প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়ালী উল্লার পক্ষের সমর্থক আফছারকে এবং সন্ধ্যায় এ নিয়ে মামলা করতে থানায় এলে নুর ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করে।
এ নিয়ে সন্ধ্যা থেকে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। যার জের ধরে রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে দুই পক্ষ থানার কাছাকাছি ওছখালী বাজারে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষের মাঝখানে পড়ে গিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপের শিকার হয়।
এতে হাতিয়া পৌরসভার একটি ওয়ার্ডের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করতে পুলিশ লাইন থেকে যাওয়া পুলিশের পরিদর্শক মোস্তফা কামাল, দুই উপপরিদর্শক মনিরুজ্জামান ও ত্রিদিপ চাকমা এবং দুই কনস্টেবল ইটের আঘাতে গুরুতর আহত হন। এ সময় পুলিশ শটগান থেকে ১৬টি গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের দুটি শেল নিক্ষেপ এবং উভয় পক্ষকে লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ওসির দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনির হোসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা থামাতে গিয়ে পুলিশ উল্টো হামলার শিকার হয়।
রাত সোয়া ১০টায় সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) নিষ্কৃতি চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগান থেকে ১৬টি গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের দুটি শেল নিক্ষেপ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।